কুষ্টিয়ার খোকসা থেকে চুরি হওয়া সুজুকি মোটরসাইকেল দামুড়হুদার নতিপোতা থেকে উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার: কুষ্টিয়ার খোকসা থেকে চুরি হওয়া একটি ১৫০ সিসি সুজুকি জিকজার মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাতে দামুড়হুদার নতিপোতা গ্রাম থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে খোকসা থানা পুলিশ।

খোকসা থানা পুলিশসূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে খোকসা এলাকা থেকে মোটরসাইকেলটি চুরি হয়। মোটরসাইকেলটির মালিক একটি ইটভাটার ব্যবস্থাপক জহিরুল ইসলাম থানায় সাধারণ ডায়েরি করলে অভিযান শুরু করে পুলিশ। অনুসন্ধানে পুলিশ জানতে পারে, মোটরসাইকেলটি চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার নতিপোতা গ্রামের হারেজ আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর ব্যবহার করছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার মোটরসাইকেলটি নতিপোতা গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলে জানান খোকসা থানার উপ-পরিদর্শক হুমায়ুন রেজা।

তিনি আরও জানান, মোটরসাইকেলটি নতিপোতা ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আজিজুল হকের ভাতিজা জাহাঙ্গীর ব্যবহার করছিলো। সঠিক কাগজপত্র না দেখাতে পারায় মোটরসাইকেলটি আটক করে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ। মামলাও হয়। পরে তিনি আদালতের মাধ্যমে প্রমাণ করেন মোটরসাইকেলটি তার। এছাড়া তিনি চুয়াডাঙ্গার একটি ভুয়া নম্বর ব্যবহার করছিলেন। মোটরসাইকেলটি উদ্ধারের পর চেয়ারম্যান আজিজুল হক এক আইনজীবীকে তাদের তৈরি কাগজপত্রসহ নিয়ে আসেন। আমরা গাড়িটির সঠিক কাগজপত্র দেখালে তারা তাদের ভুল বুঝতে পারেন এবং তাদের কাগজ ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়। তারা মোটরসাইকেলটি তাদের না বলে লিখিত দিয়ে চলে যান।

খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হুদা জানান, মোটরসাইকেলটি প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মোটরসাইকেল চোরসিন্ডিকেটের মূল হোতাকে ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।

এদিকে চুয়াডাঙ্গায় পুলিশের নজর ফাঁকি দিয়ে চোরাইগাড়ি ব্যবহার হলো কীভাবে? এ প্রশ্ন সবার মনে উকি দিচ্ছে। সূত্র বলেছে, চুয়াডাঙ্গায় চোরাইগাড়ি সিন্ডিকেটের সদস্যরা চোরাইগাড়ির ব্যবসা করে আসছে। যিনি আদালতের মাধ্যমে ভুয়া কাগকপত্র তৈরি করে গাড়িটি ব্যবহার করছিলেন তিনিও এর সদস্য। তবে শত অপরাধ সত্বেও পুলিশ তাকে প্রশ্রয় দিয়েছে।