কাস্টমস কমিশনার হাফিজুর ও তার স্ত্রীর সম্পদ বিবরণী তলব

 

 

স্টাফ রিপোর্টার: অভিযুক্ত দুর্নীতিবাজকাস্টমস কমিশনার হাফিজুর রহমান ও তার স্ত্রী মোরশেদা জাহানেরস্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বিবরণী তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বুধবারদুজনের স্থাবর-অস্থাবর ঠিকানায় এই সম্পত্তির বিবরণ চেয়ে চিঠি পাঠানোহয়েছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দুদক কমিশনে দাখিল করার নির্দেশদেয়া হয়েছে।ঢাকা কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের সাবেক কমিশনার হাফিজুররহমানের নামে-বেনামে ও নিকটাত্মীয় স্বজনের নামে শ শ কোটি টাকার অবৈধসম্পদ অর্জনের অভিযোগ দুদকের প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। হাফিজুররহমান ও তার স্ত্রী মোরশেদা জাহানের নামে যুক্তরাজ্য, দুবাই ও বাংলাদেশেএকাধিক বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ও জমির হদিস মিলেছে।দুদক সূত্র জানিয়েছে, ঢাকায় হাফিজুর রহমানের একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেখান থেকে বিদেশেটাকা পাচারের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। হাফিজুর রহমানের একক ও যৌথ নামেদেশি-বিদেশি ৪টি ব্যাংকে ১৪টি ব্যাংক হিসাব রয়েছে। এসব ব্যাংক হিসাব থেকেঅর্ধশত কোটি টাকা লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে।দুদকের উপপরিচালক মাহমুদহাসান সম্প্রতি অনুসন্ধান চালিয়ে হাফিজুর রহমানের বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জনেরঅভিযোগ সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন দুদকে জমা দেন। পরে দুদক কমিশনারেরঅনুমোদনক্রমে সম্পদের বিবরণী তলব করা হয়েছে।অনুসন্ধানে জানা যায়, কখনোএম হাফিজুর রহমান, এমএইচ রহমান, এমডি হাফিজুর রহমান নাম ব্যবহার করেস্ট্যান্ডার্ড চার্টাড, ন্যাশনাল ব্যাংক, প্রাইম, আইএফআইসিসহ একাধিকব্যাংকে একাউন্ট খোলে হাফিজুর রহমান। এসব একাউন্টে ব্যাপক লেনদেন হয়। এছাড়াবেক্সিমকো সিকিউরিটিজের ধানমন্ডি শাখা, সিনহা সিকিউরিটিজের মতিঝিল শাখায়হাফিজুর রহমানের নামে বিও একাউন্ট রয়েছে। সাদ সিকিউরিটিজে তার স্ত্রীর নামেদুটি বিও হিসাব রয়েছে। এ দুটি একাউন্টে প্রচুর শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এসববিনিয়োগ করা অর্থের কোনো বৈধ উৎস নেই। এছাড়া গুলশানে কনকর্ডের একটি ফ্ল্যাট, গুলশানে আরো একটি ফ্ল্যাট, স্ত্রীর নামে ধানমন্ডিতে আরো দুটি ফ্ল্যাটকেনেন হাফিজুর রহমান।