কলুষ ও মাদক মুক্ত সমাজ গঠনে সুস্থ বিনোদনের বিকল্প নেই

দর্শনা আকন্দবাড়িয়ায় বাউল ও লোকজ উৎসবের সমাপনী সন্ধ্যায় এমপি আলী আজগার টগর

দর্শনা অফিস: দর্শনা আকন্দবাড়িয়া বাউল পরিষদের ১৮ তম বাউল ও লোকজ উৎসব সম্পন্ন হয়েছে। ৪ দিনব্যাপী বাউল উৎসবের সমাপনী সন্ধ্যায় যথারিতি আলোচনা পর্ব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়েই এ উৎসবের সমাপনী ঘোষণা করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত আলোচনা পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগর বলেন, আকাশ সংস্কৃতি এবং অপ-সংস্কৃতির আড়ালে হারিয়ে যাচ্ছে বাংলার আদি সংস্কৃতি বাউল ও লোকজ গান। আজকের প্রজন্ম ঝুঁকে পড়ছে আকাশ সংস্কৃতির দিকে। এক সময় বাঙালির বিনোদনের মূল উৎস ছিলো পল্লি, ভাটিয়ালি, জারি-সারি, যাত্রাসহ বহু ধরনের আয়োজন। সে গান ও সুরে ছিলো মা-মাটির গন্ধ। মা-মাটির মানুষের সেই সুর আজও দোলা দেয় চিত্তকে, জোগান দেয় মনের খোরাক। বছর দশেক আগেও বাংলার ঐহিত্যবাহী এ ধরনের বাউল উৎসবের আয়োজন করতে পারতো না এলাকাবাসী। বিনোদনের দিক থেকে অনেক পিছিয়ে ছিলো এ অঞ্চলের মানুষ। যে কারণে যুবসমাজ ঝুঁকে পড়েছিলো মাদক ও বিদেশি গানের দিকে। বর্তমান সরকার সুস্থ সংস্কৃতির ধারাকে ফিরিয়ে এনেছে। যে কারণে এ ধরনের বিনোদনমূলক আয়োজন করতে পারছে। মানুষ খুঁজে পাচ্ছে বিনোদনের স্থান। তাই সরকারের সাফলতা ধরে রাখতে আবারও নৌকা প্রতীকে ভোট দিন। কলুষ ও মাদক মুক্ত সমাজ গঠনে সুস্থ বিনোদনের বিকল্প নেই, তেমনি দেশের উন্নয়ন ধারাকে ধরে রাখতে বিকল্প নেই শেখ হাসিনা সরকারের।
দর্শনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক হানিফ ম-লের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, দামুড়হুদা উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, দর্শনা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ, ইন্সপেক্টর শোনিত কুমার গায়েন, বেগমপুর পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই সৈয়দ মাসনুন আলম ও দর্শনা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জেল হোসেন তপু। সাংবাদিক রেজাউল করিম লিটনের প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগ নেতা আব্দুস সালাম ভুট্টো, ছাত্রলীগ নেতা আলামিন, অপু সরকার। আলোচনা পর্বের শুরুতেই কেরুজ সুগার সেচ কমিটির চেয়ারম্যান মনোনীত হওয়ায় এমপি টগরকে সম্মননা স্মারক তুলে দেন ধীরু বাউল। অনুষ্ঠানে উৎসবের আয়োজক বাংলাদেশ টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত শিল্পী, ট্যালেন্ড হান্ট টপটেন ধীরু বাউলের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমেই আলোচনা পর্ব শুরু হয়। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। গান গেয়ে দর্শক মাতিয়েছেন ধীরু বাউল। শেষে গোনাই বিবি যাত্রাপালা মঞ্চস্থ হয়েছে।