একের পর কুলবাগান কেটে দিচ্ছে দুর্বৃত্তদল : জীবননগর গঙ্গাদাসপুরের কুলচাষিরা দিশেহারা

জীবননগর ব্যুরো: চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার গঙ্গাদাসপুর গ্রামের কুলচাষিরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। শক্রতাপূর্বক একটি চিহ্নিত চক্র একের পর এক অপর গ্র“পের লোকজনের ফলন্ত কুলবাগান কেটে দিচ্ছে। গত দু দিনে ৬জন কৃষকের ১১ বিঘা ক্ষেতের প্রায় ১ হাজার কুলগাছ কেটে সাবাড় করে দিয়েছে। এ ঘটনায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কুলচাষিরা। তবে দুর্বৃত্তদের ভয়ে রাতে কেও কুলবাগান পাহারা দিতে যাওয়ার সাহস করছে না বলে অভিযোগ করা হয়েছে।    গঙ্গাদাসপুর গ্রামের মৃত আক্কাছ আলী মণ্ডলের ছেলে কুলচাষি শামসুল হক (৬০) অভিযোগ করে বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গ্রামে বিবাদমান দুটি গ্র“প রয়েছে। এ দু গ্র“প হচ্ছে জোতদার ও গোলদার গ্র“প। গোলদার গ্র“পের অভিযোগ জোতদার গ্র“পের লোকজন আক্রোসে তাদের ফলন্ত কুলবাগান কেটে দিয়ে মারাত্মক ক্ষতির করে দিচ্ছে। একই মাঠে জোতদার গ্র“পের কুলবাগান থাকলেও তাদের কুলবাগান থাকছে অক্ষত। আর তাদের বাগান কেটে সাবাড় করে দেয়া হচ্ছে।

শনিবার রাতে গঙ্গাদাসপুর গ্রামের মৃত সদর আলীর ছেলে জামাত আলীর ৩ বিঘা, আবুল হোসেনের ছেলে গোলাম মোস্তফার ১০ কাঠা, মৃত আজির বকসের ছেলে আব্দুলের ১০ কাটা ও তার নিজের ১ বিঘা জমির কুলগাছ দুর্বৃত্তদল কেটে সাবাড় করে দিয়েছে। এ ঘটনায় তাদের প্রায় ৪ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে অভিযোগ। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে একই গ্রামের মাঠে মৃত দাউদ মণ্ডলের ছেলে হাবিবুর রহমানের ৩ বিঘা, আনসার আলী গোলদারের ছেলে নূরুল আমিনের আড়াই বিঘা ও আশাদুল ইসলাম গোলদারের আড়াই বিঘা জমির ফলন্ত কুলগাছ কেটে বিনষ্ট করে। কুলচাষিরা অভিযোগ করে বলেন, রাতে দুর্বৃত্তদল অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘবদ্ধভাবে এ কাজ করতে থাকাই প্রাণ ভয়ে তারা কুলক্ষেত পাহারা দিতে সাহস করছে না।