উত্তরায় খাল থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-গুলি উদ্ধার

 

স্টাফ রিপোর্টার: রাজধানীর উত্তরা এলাকার একটি খাল থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার বিকেলে তুরাগ থানার ষোলহাটি বৌদ্ধ মন্দিরের কাছে দিয়াবাড়ি খাল থেকে এসব অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, খাল থেকে ১০৮টি চাইনিজ পিস্তল, ২১৭টি এসএমজির ম্যাগাজিন, এক হাজার রাউন্ড গুলি ও ১১টি বেয়নেট উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলো ৭টি কাপড়ের ব্যাগে রাখা ছিলো। তবে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। গতকাল রাত ১০টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত  অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলছিলো।

পুলিশ দাবি করে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তুরাগ থানা পুলিশ জানতে পারে যে ওই খালে অস্ত্রশস্ত্র রয়েছে। পরে পুলিশ ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা ওই খাল থেকে এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, সাঁড়াশি অভিযানের কারণে হয়তো সন্ত্রাসীরা এসব অস্ত্রশস্ত্র আড়াল করতে খালে ফেলে দিয়েছে। এটির সাথে দেশীয় বড় ধরনের সন্ত্রাসী চক্র অথবা জঙ্গি গ্রুপ জড়িত থাকতে পারে। অস্ত্র উদ্ধারের এই ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বড়। ছোট আগ্নেয়াস্ত্রের এটি সবচেয়ে বড় চালান। এর আগে দেশে এত সংখ্যক ছোট আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা ঘটেনি।

ঘটনাস্থলের বর্ণনা দিয়ে ৱ্যাব-১’র উপ-অধিনায়ক  লে. কমান্ডার কাজী মো. শোয়ায়েব জানান, দিয়াবাড়ি খালটি তুরাগ নদীর একটি শাখা। উত্তরা ১৬ নম্বর সেক্টরের অধীন খালটি। খালের পাশেই বড় সড়ক। খালে স্থান ভেদে ১০ থেকে ১৫ ফুট পানি রয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার পরিদর্শক মাহমুদুল হক বলেন,  পুলিশের তথ্যের ভিত্তিতে দুপুর ২ টার দিকে ডুবুরিরা অভিযান শুরু করে। প্রায় ২ ঘণ্টা প্রচেষ্টার পর বিকালে অস্ত্রের সন্ধান পাওয়া যায়।

ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার আতাউর রহমান রাত আটটার দিকে জানান, ১৬ জন ডুবুরি উদ্ধার কাজ করছেন। অভিযান এখনো চলছে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ১০৮টি পিস্তল পাওয়া গেছে। পিস্তলগুলো ব্যাগে মোড়ানো ছিল। গুলিগুলো টিফিন বক্সের মধ্যে ছিল। তাও ব্যাগের ভিতরে ছিলো মোড়ানো।

পুলিশের উত্তরা বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, যেহেতু ওই খালে এসএমজির গুলি পাওয়া গেছে, তাই এসএমজিও থাকতে পারে। ঘটনাস্থলে দেখা গেছে, বেড়িবাঁধ সংলগ্ন ওই খালে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার অভিযান চলছে। পুরো এলাকা ৱ্যাব, পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘিরে রেখেছে। সাধারণ মানুষ ও গণমাধ্যম কর্মীদের সেখানে যেতে দেয়া হয়নি।  ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন পুলিশের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।