উঠান বৈঠকে শিক্ষকদের আকুতি : আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা

 

স্টাফ রিপোর্টার: অষ্টম জাতীয় পে-স্কেলে শর্তহীনভাবে অন্তর্ভুক্তি ও চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে চুয়াডাঙ্গার শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের গাড়াবাড়িয়া গ্রামে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলাসহ জীবননগর ও আলমডাঙ্গার শিক্ষকদের নিয়ে উঠোন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা তিতুদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ফজলুর রহমান। গতকাল শুক্রবার বেলা ৪টার দিকে বৈঠকে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন, ডিসেম্বর গেলো, জানুয়ারি গেলো, ফেব্রুয়ারি গেলো, শিক্ষকরা অতীতের ন্যায় সরকারের ধোকাবাজির শিকার হলো। ফেব্রুয়ারিতে অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেল থেকে বঞ্চিত হওয়ায় শিক্ষকরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এ সময় শিক্ষকরা বলেন, যেখানে সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা ইতোমধ্যে অষ্টম বেতন পে-স্কেলের সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন সেখানে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বঞ্চিত হচ্ছে। এটা কোনোভাবে কাম্য হতে পারে না। দেশের ৯০ ভাগ শিক্ষার্থী বেরসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করছে। অথচ সরকারের সেদিকে কোনো খেয়াল নেই।

বৈঠকে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা পৌর ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক শেখ সেলিম, এমএ বারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম আলী আলী আখতার, ঝিনুক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেবাকা সুলতানা, আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিলকিস জাহান, আলুকদিয়া রোমেলা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরীফা খাতুন, সীমান্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিসেস মাহজেবীন, আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূর হোসেন, চুয়াডাঙ্গা একাডেমীর প্রধান শিক্ষক সুকেশ কুমার বিশ্বাস, আইলহাঁস লক্ষ্মীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাইজাল হোসেন, আসমানখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম, ভোগাইল বগাদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমান, ছাদেমান নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সালেহ, উথলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন, গিরীশনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূর মোহাম্মদ প্রমুখ। এছাড়া উঠোন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- আনোয়ার হোসেন, রুহুল আমিন, আবুল কাশেম, নাহারুল ইসলাম, মোতাহার হোসেন, দিলীপ কুমার অধিকারী, জাহিদ হোসেন, মজিবুল হক, ফজলুল হক মালিক, রাশিদুল ইসলাম, সেলিনা খাতুন, মো. রুবেল হোসেন, মো. রিপন, নাজমুল হক, মনিরুজ্জামান, আনোয়ার হোসেন ও খাইরুল ইসলাম প্রমুখ।

অষ্টম জাতীয় পেস্কেলে অন্তর্ভুক্তি না হওয়ায় বাংলাদেশের ৯৫ ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ এ কারণে প্রতিনিয়ত আর্থিক সংকটে পড়ছেন এবং পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন যা সত্যিকার অর্থে দুর্ভাগ্যজনক।

অষ্টম জাতীয় পে-স্কেলে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে আগামী ৯ মার্চ বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টায় চুয়াডাঙ্গা শিল্পকলা একাডেমী চত্বরে মতবিনিময় সভা ও আগামী ১১ মার্চ সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সাংবাদিক সম্মেলন থেকে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।