ঈশ্বরদী-চাপাইনবাবগঞ্জ চলাচলকারী কমিউটার এক্সপ্রেস ট্রেন দর্শনা অবধি চলাচলসহ এলাকাবাসীর নানা দাবি

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: ঈশ্বরদী-চাপাইনবাবগঞ্জ চলাচলকারী ৫৭ আপ ও ৭৮ ডাউন কমিউটার এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি দর্শনা জংশন পর্যন্ত চলাচল ও খুলনা- সৈয়দপুরগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস আলমডাঙ্গা স্টেশনে ২ মিনিট স্টপেজের দাবি ক্রমেই উচ্চকিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে রেলমন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী পরিষদের স্থায়ী কমিটির সদস্য চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের এমপি আলী আজগর টগরের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হলেও আজোবধি গৃহীত হয়নি কোনো পদক্ষেপ।
জানা গেছে, ঈশ্বরদী-চাপাইনবাবগঞ্জ চলাচলকারী ৫৭ আপ ও ৭৮ ডাউন কমিউটার এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি দর্শনা পর্যন্ত চলাচলের দাবি উঠেছে বেশ কিছু দিন ধরে। ঈশ্বরদী থেকে একটি কমিউটার এক্সপ্রেস ট্রেন সকাল ৭টায় রাজশাহী চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। পথিমধ্যে আব্দুল্লাহপুর স্টেশনে ৪০ মিনিট দীর্ঘ সময় ধরে যাত্রাবিরতি করে। এখান থেকেই রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা ৩টি ট্রেন যথাক্রমে তিতুমীর, সাগরদাঁড়ি ও সিল্কসিটি ক্রসিং শেষে আবার রাজশাহী চাঁপাইনবাবগঞ্জের দিকে যাত্রা করে। অথচ ওই কমিউটার ট্রেন দর্শনা পর্যন্ত চলাচল করলে মাত্র সোয়া এক ঘন্টা সময় অতিরিক্ত ব্যয় হতো। এতে সীমান্তবর্তী অঞ্চল দর্শনা, চুয়াডাঙ্গা, আলমডাঙ্গা, পোড়াদহ, ভেড়ামারার অসংখ্য মানুষ উপকৃত হতো। এতদাঞ্চলের হাজার হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রতিদিন শ’ শ’ রোগী ও তাদের আত্মীয়-পরিজন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়া-আসা করেন। কর্তৃপক্ষের একটুখানি সদিচ্ছা থাকলেই এ দুটি ট্রেন অনায়াসেই দর্শনা অবধি চলাচলে আর বাধা থাকে না।
এছাড়া আলমডাঙ্গা স্টেশনের সংস্কার, খুলনা-সৈয়দপুরগামী ৭৪৭ আপ ও ডাউন সীমান্ত এক্সপ্রেস ২ মিনিট আলমডাঙ্গা স্টেশনে স্টপেজ, দেশের একমাত্র দ্বিতল রেলওয়ে স্টেশন ভবনের আদি নির্মাণশৈলী অক্ষুণœ রেখে আধুনিকায়ন, আপ ও ডাউন প্লাটফর্ম বর্ধিতকরণ, এক্সপ্রেস রোড, ফুটওভার ব্রিজ স্থাপন, যাত্রী ছাউনি বর্ধিতকরণ ও চিত্রা-সুন্দরবন এক্সপ্রেসের বরাদ্দকৃত আসনসংখ্যা বাস্তবতার নিরিখে বৃদ্ধির দাবিতে এলাকাবাসী সম্প্রতি বেশ সোচ্চার হয়ে উঠেছে।
ইতোমধ্যেই তারা এ সকল দাবি-দাওয়া সংবলিত স্মারকলিপি রেলমন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী পরিষদের স্থায়ী কমিটির সদস্য আলী আজগর টগর এমপি’র নিকট প্রদান করেছেন। তিনি সে সময় দাবি পূরণের ব্যাপারে এলাকাবাসীকে আশ্বস্তও করেছিলেন। কিন্তু আজোবধি সে দাবিগুলো পূরণে পদক্ষেপ গৃহিত হয়নি। এ ব্যাপারে সচেতন এলাকাবাসী রেলমন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী পরিষদের স্থায়ী কমিটির সদস্য চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের এমপি আলী আজগর টগরের ও রেলওয়ের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।