ঈদের আগেই ট্রেনের বরাদ্দকৃত আসন সংখ্যা বৃদ্ধর চেষ্টা করা হবে

 

স্টাফ রিপোর্টার: গত ২ বছর পূর্বে ট্রেনের আসন সংখ্যা বৃদ্ধির দাবিতে এই স্টেশনে মানববন্ধন করেছিলাম। ওই দিন ঢাকাগামী ট্রেনের সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করেছিলো চুয়াডাঙ্গাবাসী। সেদিনই মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, যদি কোনোদিন সুযোগ পায় তাহলে এ সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করবো। আর সে যোগ্যতা অর্জন করেই আজ এই স্টেশনে এসেছি। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের উপরোক্ত কথাগুলো বলেন পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু।

পৌর মেয়র স্টেশন পরিদর্শনকালে রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের খোঁজখবর নেন। তিনি যাত্রীদের কাছে তাদের দুর্ভোগের কথা ও অভিযোগ শোনেন। এছাড়া তিনি যাত্রীদের বিশ্রামাগার, প্লাটফমের্র চারপাশসহ জিআরপি ফাঁড়ি ঘুরে দেখেন এবং সমস্যাগুলো চিহ্নিত করেন। এ সময় কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টার আনোয়ার হোসেন সাদাদ, টিকেট ইনচার্জ আব্দুস সামাদ, রেলওয়ে ও পৌরসভার অন্য কর্মকর্তাসহ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

স্টেশন পরিদর্শন শেষে পৌর মেয়র আরও বলেন, যাত্রীদের অপেক্ষার জন্য কিছু বেঞ্চের প্রয়োজন। পৌরসভা থেকে কিছু ফ্যান এর আগে দেয়া হয়েছে। যেখানে দরকার সেখানেও ফ্যান দেয়া হবে। এছাড়া দীর্ঘদিন থেকে ট্রেনের টিকেটের বরাদ্দ কম। এতে যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ঈদের আগেই স্টেশনের জন্য ট্রেনের আসন সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করবেন বলেও জানান তিনি।

এদিকে টিকেট ইনচার্জ আব্দুস সামাদ জানালেন, ট্রেনের সকল টিকেট এখন অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। তাই ভিআইপি, জরুরি বা অগ্রিম কোনো ব্যবস্থাতেই ট্রেনের টিকেট আগাম বিক্রি সম্ভব নয়। বিষয়টি সকলকে বিবেচনা করে রেলওয়ের কাজে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান তিনি।