আলমডাঙ্গা বলরামপুরের সেই অপহৃত আব্দুল মালেকের শরীরের বিভিন্ন অংশের চামড়া উঠে যাচ্ছে বলে অভিযোগ : কুষ্টিয়া ফরেনসিকে রেফার্ড

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গা বলরামপুরের আব্দুল মালেকের শরীরের বিভিন্ন জায়গা থেকে চামড়া উঠছে দেখে কুষ্ঠিয়া জেনারেল হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে রেফার্ড করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার আব্দুল মালেক আদালতে হাজিরা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে অপহরণ করে তার গায়ে বিষক্ত ওষুধ ঢেলে মারধর শেষে বণ্ডবিল মাঠে ফেলে দেয়া হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে হারদী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে।

অভিযোগকারী ও এলাকাসূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বলরামপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে আব্দুল মালেক ১০ বছরের পুরানো প্রেমিকা উপজেলার এনায়েত গ্রামের হোসেন আলীর মেয়ের সুমির সাথে আবারো নতুন করে পরোকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলেন।  তারই কয়েকদিন পর তারা সপ্ন দেখে নতুন করে ঘর বাধার। দুজনে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে ১০/১৫ দিন তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে ঘর সংসার করে। পরে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে গেলে আব্দুল মালেককে পুলিশের হাতে তুলে দেয় সুমির আগের স্বামী বেলগাছী গ্রামের আবুল কালামের ছেলে রাহেন। ৪ ফেব্রুয়ারি রাহেন বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করে। ওই মামলায় আব্দুল মালেককে আদালতে প্রেরণ করে থানা পুলিশ। ৬/৭ মাস জেল খেটে জামিনে মুক্ত হয়ে গত ২১ আগস্ট মালেক বাড়ি আসে। গতপরশু ৩০ আগস্ট মামলার তারিখে আব্দুল মালেক আদালতে হাজিরা দিয়ে বের হওয়ার পর পরোকীয়া প্রেমিকা সুমির স্বামী রাহেনসহ কয়েকজন মিলে মালেককে সাদা মাইক্রোবাসে করে তুলে চোখ, মুখ বেঁধে নিয়ে যায়। কয়েক ঘণ্টা আটকে রেখে তার গায়ে বিষক্ত ওষুধ ঢেলে কাঁদা মাটির ভেতরে চুবড়ায়। মরে গেছে ভেবে সন্ধ্যায় পর  আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার বণ্ডবিল মাঠে মালেককে তারা ফেলে দিয়ে যায়। মালেক মাঠের মধ্যে থেকে কোনো রকমে রাস্তার পাশে আসলে বণ্ডবিল রেলগেটের লোকজন তাকে উদ্ধার করে মাথায় পানি ঢালে। রাতেই মালেককে হারদী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।  নির্যাতনের পর থেকেই মালেকের গাঁ-হাত পা জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে বলে জানায়। বুধবার বিকেল থেকে তার শরীরের বিভিন্ন জায়গা থেকে চামড়া উঠতে শুরু করে। হারদী হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার বলেন, মালেকের শরীরের বিভিন্ন জায়গা থেকে চামড়া উঠে যাচ্ছে। তার শরীরে কোনো বিষক্ত ওষুধ ঢালা হয়েছিলো কি-না তা জানার জন্য তাকে কুষ্টিয়া জেনারেলর ফরেনসিক বিভাগে রেফার্ড করা হয়েছে।