আলমডাঙ্গা জেহালার আদিবাসী ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা বৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

 

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ শ্যামপাড়া ও ধোনাইগঞ্জের আদিবাসী গরিব মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের ২ হাজার ৪শ টাকা ও ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের ৬ হাজার টাকার স্থলে ১ হাজার ৭ শ করে টাকা দিয়ে বাকি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে আদিবাসী সমিতির সভাপতি-সেক্রেটারির বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, গত ২৪ মে আলমডাঙ্গার জেহালা ইউনিয়নের মুন্সিগঞ্জ শ্যামপাড়া ও ধোনাইগঞ্জের আদিবাসী ২৯ জন ছাত্রছাত্রীর মাঝে শিক্ষাবৃত্তির ১ লাখ ২ হাজার টাকা বিতরণ করে উপজেলা পরিষদ। গরিব মেধাবী আদিবাসী ১ম থেকে ৫ম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের ২ হাজর ৪ শ টাকা ও ৬ষ্ঠ থেকে ১০ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের ৬ হাজার টাকা দেয়ার কথা থাকলেও জেহালা আদিবাসী সমিতির সভাপতি শ্যামল ও সেক্রেটারি নবাই ২৯ জন ছাত্রছাত্রীকে মাত্র ১ হাজর ৭ শ টাকা করে মোট ৪৯ হাজার ৩ শ টাকা দেন। বাকি ৫২ হাজার ৭ শ টাকা আত্মসাৎ করেন। এ ব্যপারে গতকাল রোববার সরেজমিনে ধোনাইগঞ্জের আদিবাসী পাড়ায় গেলে কমলের মেয়ে ২য় শ্রেণির ছাত্রী জয়া, রামের মেয়ে ৭ম শ্রেণির ছাত্রী বৃষ্টি ৩য় শ্রেণির ছাত্র জিৎ, জয়দে’র ছেলে ১ম শ্রেণির ছাত্রী সোহাগ, মেয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী তিথি, ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী জ্যোতি, বারেকের মেয়ে ১ম শ্রেণির ছাত্রী মনিকাসহ ভুক্তভোগী ছাত্রছাত্রীরা জানায়, আমাদের ১ হাজর ৭ শ টাকা করে দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আদিবাসী সমিতির সেক্রেটারি নবাইয়ের নিকট জানতে চাইলে তিনি মাথাভাঙ্গাকে জানান আমি সমিতির সেক্রেটারি কারো কাছে জবাবদিহি করতে পারবো না। এ ব্যাপারে এলাকার সচেতন মহল তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছে।