আলমডাঙ্গা কায়েতপাড়ায় স্ত্রীকে সিগারেটের আগুনের ছ্যাঁকা : নেপথ্যে স্বামীর পরকীয়া

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গা কায়েতপাড়ার এক রূপসীর প্রেমে পড়ে স্ত্রীকে সিগারেটের আগুন দিয়ে মধ্যযুগীয় বর্বরোচিত নির্যাতন করেছেন হরিণাকুণ্ডু পুলতাডাঙ্গার প্রবাসী রুহুল আমীন। পাশের বাড়ির এক রূপসীর সাথে প্রবাসী রুহুল আমীনের সম্পর্কের কথা জেনে যাওয়ায় এ নির্যাতনের শিকার হয়েছেন স্ত্রী মৌসুমী।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার কায়েতপাড়া গ্রামের নবীছদ্দিনের মেয়ে মৌসুমীর (১৮) সাথে প্রায় দেড় বছর আগে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার পুলতাডাঙ্গা গ্রামের শরিফুল ইসলামের মালায়শিয়া প্রবাসী ছেলে রুহুল আমীনের বিয়ে হয়। বিয়ের আগ থেকেই রুহুল আমীন পাশের বাড়ির এক রূপসী নারীর সাথে সম্পর্ক করে। রুহুল আমীনের পরিবার বিষয়টা জানতে পেরে রুহুল আমীনকে মৌসুমীর সাথে বিয়ে দেয়। বিয়ের কিছুদিন পর রুহুল আমীন আবারও বিদেশে চলে যায়। গত ২ মাস আগে রুহুল আমীন বিদেশ থেকে বাড়ি আসেন। বাড়ি এসে পূর্বের প্রেমিকা পাশের বাড়ির সুইটির সাথে আবারও পরকীয়া সম্পর্কে লিপ্ত হন। বিষয়টা স্ত্রী মৌসুমী বুঝতে পেরে রুহুল আমীনকে নিষেধ করায় রুহুল আমীন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। গত শনিবার রাতে মৌসুমীকে সিগারেটের আগুনের  ছ্যাঁকা দিয়ে তার ডান হাতে বালার ন্যায় ক্ষত চিহ্ন সৃষ্টি করে। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেন ও মারধর করেন। গত রোববার সকালে মৌসুমী বাবার বাড়ি কায়েতপাড়ায় চলে আসেন।

গতকাল দুপুরে আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চত্বরে মৌসুমীর সাথে দেখা হয় আলমডাঙ্গা উপজেলা লোকমোর্চার সহসভাপতি প্রেসক্লাব সভাপতি শাহ আলম মন্টু ও সদস্য শরিফুল ইসলামের সাথে। অসুস্থ মৌসুমীকে দেখে কি হয়েছে জিজ্ঞসা করতেই তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। সেখানে বসে মৌসুমী মধ্যযুগীয় বর্বরোচিত নির্যাতনের বর্ণনা দেন। তিনি বলেন, বিয়ের পর থেকে রুহুল আমীন তাকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করতেন। এবার বাড়ি এসে নির্যাতনের মাত্রা  বাড়িয়ে দেন। প্রতি রাতেই তিনি মধ্যযুগীয় বর্বরোচিত নির্যাতন করতেন। শনিবার রাতে সিগারেটের আগুন দিয়ে হাতে বেশকিছু জায়গায় ছ্যাঁকা দেন।