আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবাদ সম্মেলন

ভাতা প্রদানে জটিলতা সৃষ্টি মুক্তিযোদ্ধাদের লাশ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনে অনীহাসহ নানা অভিযোগ

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহমেদ কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কর্তব্যে অবহেলা, অনিয়ম ও ঈদুল আজহার নিকটবর্তী সময়েও মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা প্রদানে নানা জটিলতা সৃষ্টি, মুক্তিযোদ্ধাদের লাশ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনে অনীহা, বহুতল বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ভবন নির্মাণের স্থান নির্ধারণ ও মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ে অনাগ্রহের অভিযোগ তুলে জাতীয় সংসদের হুইপ ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে আলমডাঙ্গা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের পক্ষ থেকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে কমান্ডের অস্থায়ী কার্যালয়ে গতকাল সোমবার বিকেলে ওই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

আলমডাঙ্গা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের কমান্ডার শফিউর রহমান সুলতান জোয়ার্দ্দার লিখিত ও পঠিত বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহমেদ কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ উত্থাপন করা হয়। উল্লেখযোগ্য অভিযোগগুলো হলো, কোনো মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যুবরণ করলে তার লাশ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনসহ অন্যান্য কর্তব্যাদি পালনে অবহেলা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে বারবার অনুরোধ করলেও মৃত মুক্তিযোদ্ধার দাফনে অংশগ্রহণ না করে মোবাইলফোনে চিত্রাকর্ষক কিছু উপভোগ করতে তিনি বেশি উৎসাহ দেখান বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

বহুতল বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ভবন নির্মাণের স্থান নির্ধারণের জন্য প্রায় একমাস পূর্বে মন্ত্রণালয় থেকে লিখিত নির্দেশনা দিলেও আজ পর্যন্ত তিনি তা করছেন না। বিষয়টি মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তিনি গুরুত্ব দিচ্ছেন না। মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী চেতনা ধারণ করেন বলেই তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করছেন বলে দাবি করা হয়।

প্রায় একমাস আগে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় চিঠি দিলেও তিনি আজও তা করেননি। বরং নিরুৎসাহ প্রদর্শন করছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়।