আলমডাঙ্গায় রেললাইনের জায়গা দখল-বেদখলের হিড়িক : বৃদ্ধি পাচ্ছে অপতৎপরতা

রেলের মাটি কেটে নার্সারি স্থাপন ও ঘর-বাড়ি নির্মাণ : প্রশাসন নির্বিকার

 

আলমডাঙ্গা বুরো: কয়েক বছর ধরে আলমডাঙ্গার লালব্রিজ এলাকার রেললাইনের  ওপর অসাধু লোকজনের আছর পড়েছে। দিন দিন বেদখল হয়ে যাচ্ছে রেলের জমি ও রেলের ঢাল। পশ্চিম পাশে রেললাইনের ধার দখল করে অনেকেই ঘর বানিয়ে বসবাস করছে। আবার রেল লাইনের ঢাল কেটে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী জোরপূর্বক মাটি সরিয়ে জমজমাট নার্সারি ব্যবসা শুরু করেছেন। কয়েক বছর আগে হাতেগোনা কয়েকজন রেলের ধার দখল করে নার্সারি ব্যবসা শুরু করলেও এখন তা জমজমাট হয়ে উঠেছে। এলাকার লোকজন বার বার অভিযোগ করলেও প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। হুমকির মুখে পড়েছে রেললাইন।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গার লালব্রিজের নিকটবর্তী পশ্চিম পাশে কয়েক বছর ধরে ১০/১২ জন উড়ো নার্সারি ব্যবসায়ী রেলেরলাইনের পাশের মাটি কেটে ছোট ছোট ঘর বানিয়ে গাছের চারা বিক্রি করে আসছেন। রেলব্রিজ থেকে স্টেশন পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার রেলের পাড় বেদখল করে ফেলেছেন তারা। নার্সারি ব্যবসায়ীদের মধ্যে বাবুপাড়ার ফিরোজ খান, কাজী আহাদ, স্টেশনপাড়ার শাহাজান, কলেজপাড়ার জামিরুল, বণ্ডবিলের ভাণ্ডারী, কামালপুরের রাজ্জাক, কালিদাসপুরের খালেক, বেলগাছির রহিম, কালিদাসপুরের রুবেল এবং কলেজপাড়ার বাবলু দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে রেললাইনের জমি দখল করে ব্যবসা করে আসছেন। তারা ইচ্ছে মতোন রেলের পাড় কেটে ঘর বানিয়ে এবং পায়খানা বানিয়ে স্থায়ীভাবে নার্সারি সাজিয়ে বসেছেন। রেলের ঢাল কাটার ফলে একদিকে যেমন রেললাইন পড়েছে হুমকির মুখে, অন্যদিকে দখল হয়ে যাচ্ছে রেলের সরকারি জমি। এলাকার সচেতনমহল অতিসত্বর ওই নার্সারি ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন। একই সাথে রেললাইনের পাশে অসংখ্য পরিবার বসবাস স্থাপন করেছে। তারা রেল লাইনের ঢালের মাটি কেটে ঘর বাড়ি নির্মাণ করছে। ফলে রেললাইনের ধারে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে আলমডাঙ্গা রেলস্টেশন এলাকা দুর্ঘটনা প্রবণ হয়ে উঠেছে। যেকোনো সময় অঘটন ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছে এলাবাসী। পাশাপাশি আলমডাঙ্গা পৌর পশুহাটের গরু-মোষ ওঠা-নামার ফলে রেললাইনের মাটি ধসে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। রেল বিভাগের সংশ্লষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলে সচেতন মহল আশা করে।