আলমডাঙ্গায় রাহাত ফকিরের ডেরায় নেশা জুয়ার আড্ডা : প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গা শহরের উপকূলে কালিদাসপুর রেললাইনের পাশে রাহাত ফকিরের ডেরায় দিনরাত নেশা আর জুয়ায় মত্ত থাকে এলাকার রোড ডাকাত-ছিনতাইকারী আর নেশাগ্রস্তরা। এমন দাবি তুলে এলাকার সচেতন মানুষ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। সম্প্রতি এ ডেরা থেকে পুলিশের হাতে আটক ২ ডাকাত আদালতে ১৬৪ ধারায় এমনই স্বীকারোক্তি দিয়েছে।

এলাকাসূত্রে জানা গেছে, কালিদাসপুর রেললাইন ক্রসিঙের নিকটবর্তী রেললাইনের জমিতেই রাহাত ফকিরের ডেরা। গ্রামবাসীসূত্রে জানা যায়, আগে রাহাত ফকিরের বাড়ি ছিলো কালিদাসপুর উত্তরপাড়া। ৫/৬ বছর আগে সে বাড়িঘর ভেঙে রেলের জমিতে ঘর করে বসবাস শুরু করে। মারা যাওয়া স্ত্রীর কবর খুঁড়ে রাহাত ফকির হাড়গোড় তুলে নিয়ে রেললাইনের পাশের নতুন আবাসস্থলে পুঁতে রাখে। এ ঘটনায় সে গ্রামে বেশ আলোচিত হয়ে ওঠে। গ্রামের ভেতর থেকে বের হয়ে এখানে বসবাসের পর থেকেই সে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে প্রতিদিন তার ডেরায় সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্যের বেচাকেনা চলে বলে অভিযোগ রয়েছে। তার ডেরায় শুধু স্থানীয়রাই নেশাদ্রব্য কিনতে আসে না, প্রতিদিন আলমডাঙ্গার বিভিন্ন স্থান থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে উঠতি বয়সীরা ভিড় জমায় বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। এলাকার সন্ত্রাসী, ডাকাত, ছিনতাইকারীদের ঠিকানা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাহাত ফকিরের ডেরা। এখানে তারা রাতদিন নেশা করে আর জুয়া খেলে কাটায়। অনেকের অভিযোগ গত ১৫ জুলাই এই ডেরা থেকে পুলিশ কালিদাসপুর গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে বাদল ও মৃত শফির ছেলে শাহাবুলকে আটক করে। যারা আদালতে রোড ডাকাতির সাথে জড়িত স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। দুজনকে আটকের পর রাহাত ফকিরের ডেরা কয়েক দিন বন্ধ ছিলো। আবারও রাহাত ফকিরের ডেরায় শুরু হয়েছে নেশা। এ ব্যাপারে এলাকার সচেতন মানুষ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।