আলমডাঙ্গার হাউসপুরের এক ফার্মেসির ওষুধের মধ্যে বিষাক্ত পদার্থ

 

ডাউকি প্রতিনিধি: গতকাল সকাল ১১টার দিকে আলমডাঙ্গার হাউসপুর শাদাব্রিজ মোড়ে বিসমিল্লাহ ফার্মেসিতে কাশির ওষুধে বিষাক্ত পদার্থ থাকায় মায়ের সর্তকতায় বেঁচে গেলো স্বাধীন।

জানা যায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার বাদেমাজু গ্রামের দিনমজুর পলানের ছেলে কিশোর স্বাধীন (১৪) ঠাণ্ডাজ্বরে আক্রান্ত হলে গত ১৭ এপ্রিল স্বাধীনের চাচা উল্লেখিত ওষুধের দোকান থেকে ইনসেপ্টা কোম্পানির অ্যাকুয়াফেন কাশির সিরাপ কিনে নিয়ে যায়। স্বাধীনের মা ওষুদের মুটকি খুললে বিষাক্ত দুর্গন্ধ নাকে লাগায় স্বাধীনের পিতা পলানসহ প্রতিবেশীদের ডাক দেন। তারা এ ওষুধ মাটিতে ফেলে পিঁপড়ার ওপর পরীক্ষা করেন। ওষুধ খাওয়ার সাথে সাথে পিঁপড়াগুলো মারা যায়। কিশোর স্বাধীনের মায়ের বুদ্ধিমত্তার কারণে এ যাত্রায় একমাত্র সন্তান স্বাধীন প্রাণে বেঁচে গেলো। বিষাক্ত পদার্থ ওষুধ নিয়ে দোকানে হাজির হলে তর্কের সৃষ্টির এক পর্যায়ে উৎসুক জনতা ভিড় জমায়। ফার্মেসি মালিক বেলগাছির আরিফ ওই ওষুধ দেখে হতবাক হয়ে যান। বাংলাদেশের বৃহৎ ওষুধ কোম্পানির মধ্যে অন্যতম ইনসেপ্টা কোম্পানি। সেই কোম্পানির ওষুধে জীবনঘাতি বিষাক্ত পদার্থ পাওয়া যাবে এটা মানতে নারাজ ওই কোম্পানির লোক। দোকানমালিক তাৎক্ষণিকভাবে মোবাইলে ওই কোম্পানির রিপ্রেজেনটেটিভ মনিরকে ডেকে নেন ফার্মেসিতে। মনির নিজেও ওই ওষুধ দেখে হতবাক হয়ে যান এবং কৌশলে পালিয়ে যান।