আলমডাঙ্গার সৌখিন কসমেটিকসের মালিকের বিরুদ্ধে নকল রাণী হোয়াইট বিউটি ফেয়ারনেস ক্রিম বিক্রির অভিযোগ

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার সৌখিন কসমেটিকসের মালিক আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে নকল রাণী হোয়াইট বিউটি ফেয়ারনেস ক্রিমসহ বাজারে চাহিদাসম্পন্ন বেশ কয়েকটি ক্রিম বাজারজাত করার অভিযোগ উঠেছে। রাণী কেমিক্যাল কোম্পানির মালিক সৌখিন কসমেটিক্স-এ উপস্থিত হয়ে হাতেনাতে নকল ক্রিম শনাক্ত করেন। পরে আলমডাঙ্গা থানায় উপস্থিত হয়ে ঘটনা খুলে বলেন। সেখানে দুজন ব্যক্তি পুলিশের উপস্থিতিতেই রাণী কেমিক্যাল কোম্পানির মালিককেই উল্টো নানা কথাবার্তা বলে তাড়িয়ে দেন। কসমেটিকসের মালিক এ অভিযোগকে অমুলক দাবি করেছেন।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গার জুতাপট্টি হিসেবে পরিচিত মার্কেটে সৌখিন কসমেটিকসের অবস্থান। বেশ কিছুদিন থেকে অভিযোগ উঠেছে সৌখিন কসমেটিকস কুষ্টিয়ার রাণী কেমিক্যাল ওয়ার্কসপ কোম্পানি লিমিটেডের উৎপাদিত রাণী হোয়াইট বিউটি ফেয়ারনেস ক্রিমের নকল ক্রিম বাজারজাত করে আসছে। তারা ডিলার হিসেবে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ছোট ছোট যানবাহনে করে বিভিন্ন গ্রামের বাজারে বাজারে সরবরাহ করে থেকে। আসল ক্রিমের চেয়ে বেশ খানিকটা হ্রাসকৃত মূল্যে তারা নকল ক্রিম বিক্রি করে মার্কেট দখলে নিয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। গত পরশু সোমবার রাণী ক্রিমের মালিক সোহেল রানা কুষ্টিয়া থেকে আলমডাঙ্গায় আসেন। তিনি সৌখিন কসমেটিকসে উপস্থিত হয়ে নির্ধারিত পাইকারি মূল্যের চেয়ে বেশ কম দামে ৬টি রাণী হোয়াইট বিউটি ফেয়ারনেস ক্রিম সংগ্রহ করেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তিনি আলমডাঙ্গা থানায় উপস্থিত হয়ে ঘটনাটি খুলে বলে থানা থেকে এসআই আবুল খায়েরকে সঙ্গে নিয়ে আবার সৌখিন কসমেটিকসে উপস্থিত হন। সে সময় দুজন ব্যক্তি পুলিশের সামনেই উল্টো সোহেল রানাকেই বকাঝকা করে তাড়িয়ে দেয় বলে সোহেল রানা অভিযোগ করেছেন।

এদিকে, সৌখিন কসমেটিকসের মালিক অভিযুক্ত আলমগীর হোসেন তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের মোটেও ভিত্তি নেই দাবি করে বলেছেন, রাণী ফেয়ারনেস ক্রিমের নির্দিস্ট কোন ডিস্ট্রিবিউটর নেই। দীর্ঘদিন ধরে আলমডাঙ্গায় একাধিক ব্যক্তি এস আর দাবি করে ক্রিম সরবরাহ করে আসছেন। তাদের মধ্যে কে আসল আর কে নকল তা আমি কেন কোন ব্যবসায়িই বুঝতে পারেন না। তাছাড়া আমার দোকানের রাণী ক্রিমগুলি যে নকল তার প্রমাণ তো কেউ করেনি। কোম্পানির পক্ষ থেকে তাদের এস আরকে আলমডাঙ্গার কোন ব্যবসায়ির সাথে পরিচয় করে দেওয়া হয়নি। তাহলে আমাদের দোষ কোথায়?