আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ নিগার সিদ্দিক ডিগ্রি কলেজে আবারো কম্পিউটার চুরি

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ নিগার সিদ্দিক ডিগ্রি কলেজে আবারো অধ্যক্ষের রুমের কম্পিউটার চুরি হয়েছে। কলেজে এক বছর আগে রুমের তালা কেটে ২টি কম্পিউটার চুরি হয়। গত ৪ মাস আগে টিউবওয়েল ও টিন চুরি হয়। এছাড়া গত ২ মাস আগে আবারো একটি কম্পিউটার চুরি হয়। লাগাতার চুরি হলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় এবার পড়েছে আলোচনার মুখে। এবারের কম্পিউটার চুরি ঘটনায় সন্দেহের তীর নাইটগার্ডের দিকে। এ ব্যাপারে থানায় সাধারণ ডাইরি হয়েছে।
জানা গেছে, গত শনিবার গভীররাতে আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ নিগার সিদ্দিক ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের রুমের তালা কেটে ১টি কম্পিউটার চুরির ঘটনা ঘটেছে। কলেজে নাইটগার্ড থাকতে তালা কেটে কম্পিউটার চুরির ঘটনাই নাইটগার্ড মঙ্গলকে সরাসরি দায়ী করছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। অধ্যক্ষের রুমের কম্পিউটারে কলেজের ভর্তির নামের তালিকা ও হিসাব নিকাশের সকল ডকুমেন্ট ছিলো বলে কলেজ সূত্র জানায়।
এলাকাবাসী জানায়, অধ্যক্ষের রুমের কম্পিউটারে যেহেতু কলেজের সকল ডকুমেন্ট ছিলো সেহেতু কলেজের কোনো স্টাফ নিজ স্বার্থ উদ্ধারে পরিকল্পিতভাবে এ চুরির ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার বলে এলাকাবাসী মন্তব্য করেছে। গত এক বছর আগে রাতের আঁধারে কলেজের কম্পিউটার রুমের তালা কেটে ২টি কম্পিউটার চুরি হয়ে যায়। সেই ঘটনায় নাইটগার্ডকে দোষী করলে সে চোরসহ কম্পিউটার উদ্বার করে দেয়। থানা পুলিশ চোরদের আটক করে থানায় নিলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ মামলা না করায় পুলিশ কোনো আইন গত ব্যবস্থা নিতে পারেনি। গত চার মাস আগে কলেজের একটি টিউবওয়েল ও কয়েকটি টিন চোরেরা চুরি করে নিয়ে গেলেও কলেজে কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এছাড়া গত ২ মাস আগে আবারো একটি কম্পিউটার চুরি হয়। নাইট গার্ডকে দায়ী করলে একটি পুরোনো কম্পিউটার কিনে দিয়ে দায় মুক্ত হয় সে। লাগাতার চুরির ঘটনা ঘটলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ কেন ব্যবস্থা নেয়নি এমন প্রশ্ন এখন এলাকাবাসীর মুখে মুখে। কলেজ স্থাপনের পর থেকে মানিক নামের এক ব্যক্তি নাইটগার্ড হিসেবে যোগদান করে। সে চাকরি ছেড়ে দিলে দৌলত নামের এক ব্যক্তি নাইটগার্ডের চাকরি নেয়। তার মৃত্যুর পর নাইট গার্ডের পদটি শূন্য হয়। সেই পদে কোনো লোক নিয়োগ না দিয়েই কলেজের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী দক্ষ বেয়ারার মঙ্গলকে দিয়ে নাইটগার্ডের কাজ করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করেছে বলে কলেজ সূত্র জানিয়েছে। এলাকাবাসী সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে।