আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জে কসমেটিক্স ব্যবসায়ীর দোকানে ৪ বোতল ফেনসিডিল রেখে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার অভিযোগ : এএসপির ঘটনাস্থল পরিদর্শন : ব্যবসায়ী মুক্ত

 

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জে মোদনবাবুর মোড়ের কসমেটিক্স ব্যবাসয়ীকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দোকানে বাজার করা ব্যাগে ফেনসিডিল রেখে পুলিশে খবর দিয়ে ধরিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশ দোকান তল্লাশি করে একটি ব্যাগ থেকে ৪ বোতল ফেসসিডিলসহ ব্যবসায়ীকে আটক করে আলমডাঙ্গা থানায় সোপর্দ করে। থানা পুলিশ তদন্ত করে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দোকানে ফেনসিডিল রেখে ধরিয়ে দেয়ার প্রমাণ পায়। বিকেলে চুয়াডাঙ্গা পুলিশের এএসপি (এডিশনাল) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ব্যবাসায়ীকে মুক্ত করে দেন। মোবাইলফোনে সংবাদদাতাকে খুঁজছে পুলিশ।

জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে আলমডাঙ্গার জেহালা বাজারের মনিরুলের ছেলে মুন্সিগঞ্জ বাজারের মোদন বাবুর মোড়ের কসমেটিক্স ব্যবসায়ী মামুনুর রশিদ (২২) নিজ দোকানে ব্যবসায়িক কাজে ব্যস্ত ছিলো। এ সময় আধা বয়সের এক অজ্ঞাত ব্যক্তি একটি বাজার করা ব্যাগ রেখে যায়। মামুন নির্দ্বিধায় ব্যাগটি রেখে দেয়। এরই কিছুক্ষণের মধ্যে আসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ এসআই রনজিত। পুলিশ দোকান তল্লাশি করে রেখে যাওয়া সেই ব্যাগের মধ্যে থেকে ৪ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে মামুনকে আটক করে ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। বেলা ১১টার দিকে আলমডাঙ্গা থানায় তাকে সোপর্দ করে। থানা পুলিশ মামুনের বক্তব্য শুনে এলাকায় তদন্ত শুরু করে। এলাকাবাসী জানায় মামুন খুবই ভালো ছেলে, সে কোনো ঝামেলায় থাকে না। কোনো নেশা করে না আর ফেনসিডিল দোকানে রাখার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। তাকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ফেনসিডিল রেখে পুলিশে ধরিয়ে দেয়া হয়েছে এমনই প্রমাণ পায় পুলিশ। বিকেল ৫টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের এএসপি (এডিশনাল) বেলায়েত হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনাটি সাজানো বলে প্রমাণ পেয়ে মামুনকে ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দেন। গতকাল সন্ধ্যায় মামুন থানা থেকে মুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছে। পুলিশকে মোবাইলফোনে সংবাদদাতাকে খুঁজছে পুলিশ। পুলিশ জানায় যে ব্যক্তি পুলিশে খবর দিয়েছে সেই ফেনসিডিল দোকানে রেখে গেছে।

মামুন অভিযোগ করে জানায়, সকালে এক আধা বয়সের অজ্ঞাত ব্যক্তি একটি বাজারের ব্যাগ দোকানে রাখতে বলে। সে নির্দ্বিধায় ব্যাগটি দোকানে রেখে দেয়। এরই কিছুক্ষণের মধ্যে মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশ এসে দোকান তল্লাশি করে সেই ব্যাগ থেকে ৪ বোতল ফেনসিডিল ও কিছু কাপড় উদ্ধার করে তাকেও আটক করে নিয়ে যায়। পরে আলমডাঙ্গা থানায় নিয়ে  জিজ্ঞাসাবাদ করে আটক ফেনসিডিলের সাথে তার কোনো সম্পৃক্ততা না পেয়ে তাকে ছেড়ে দেয়।