আলমডাঙ্গার মাজহাদ স্কুলে ছাত্রীদের দিয়ে টয়লেট পরিষ্কার : অভিভাবকদের ক্ষোভ : দপ্তরি ও প্রধান শিক্ষকের শাস্তি দাবি

সদরুল নিপুল: চতুর্থ শ্রেণির তিন ছাত্রীকে দিয়ে জোরপূর্বক বিদ্যালয়ের টয়লেট পরিষ্কার করিয়ে নেয়ায় অভিভাবকমহল ফুঁসে উঠেছে। অভিযুক্ত দপ্তরিসহ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত অভিভাবক মহল মাইকে ঘোষণা দিয়ে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের স্কুলে যেতে নিষেধ করে দিয়েছে। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে টয়লেট পরিষ্কার করে বাড়িতে এসে তিন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর তারা সুস্থ হয়।

সরেজমিনে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুর ইউনিয়নের মাজহাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি আরেফিন আলম উজ্জ্বল গতপরশু শনিবার দুপুর ১২টার দিকে বিদ্যালয়ের ক্লাস চলাকালীন চতুর্থ শ্রেণির তিন ছাত্রী সাদিয়া আক্তার, সুমাইয়া খাতুন ও হাবীবা আক্তারকে দিয়ে জোরপূর্বক বিদ্যালয়ের টয়লেটের মলমূত্র পরিষ্কার করিয়ে নেন। ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিন ছাত্রী অভিযোগ করে জানায়, দুপুর ১২টার সময় দপ্তরি উজ্জ্বল আমাদের বলেন, চলো টয়লেট মলমূত্রে ভরে গেছে পরিষ্কার করতে হবে। আমরা এই নোংরা কাজ করতে পারবো না জানালে উনি আমাদের ভয়ভীতি দেখান। একপর্যায়ে মারধরের হাত থেকে বাঁচার জন্য বাধ্য হয়ে নাকে মুখে কাপড় বেঁধে টয়লেটের সব মলমূত্র পরিষ্কার করি। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে টয়লেট পরিষ্কার করা হয়ে গেলে টিফিনের সময় দপ্তরি উজ্জ্বল আমাদের ছুটি দিয়ে বাড়ি চলে যেতে বলেন।

কান্তপুর গ্রামের সাদিয়ার পিতা সাহিদ হোসেন, সুমাইয়ার পিতা সাফায়েত হোসেন এবং হাবীবার পিতা নাজিম উদ্দীন ক্ষোভের সাথে বলেন, টয়লেট পরিষ্কার করে বাড়ি ফেরার পর সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ে। অভিযোগকারী অভিভাবকরা বলেন, আমরা সন্তানকে স্কুলে দিয়েছি লেখাপড়া শেখার জন্য। অভিভাবকরা আরও জানান, যে দপ্তরি আমাদের মেয়েদেরকে দিয়ে এমন নোংরা কাজ করিয়ে নিয়েছে আমরা দপ্তরিসহ বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের উপযুক্ত শাস্তি চাই।

এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন গতকাল রোববার সন্ধ্যায় মোবাইলফোনে মাথাভাঙ্গাকে জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি। দপ্তরি চাপ সৃষ্টি করে শিক্ষার্থীদের দিয়ে টয়লেট পরিষ্কার করার ঘটনাটি ন্যাক্কারজনক এবং দুঃখজনক। তদন্ত সাপেক্ষে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।