আলমডাঙ্গার ভোগাইলবগাদীয়ায় বান্ধবীদের আত্মহত্যার কৌশল দেখাতে গিয়ে বিপত্তি : অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা

স্টাফ রিপোর্টার: না, আত্মহত্যার চেষ্টা নয়। বান্ধবীদের আত্মহত্যার কৌশল দেখাতে নিজেই মরতে বসেছিলো আলমডাঙ্গার ভোগাইবগাদীর স্কুলছাত্রী লিমা খাতুন (১১)। গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে ওই ঘটনা ঘটে। লিমাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
লিমার শয্যাপাশে থাকা লোকজন বলেছে, আলমডাঙ্গার পল্লি ভোগাইলবগাদী গ্রামের আয়ূব আলীর মেয়ে লিমা খাতুন। সে ভোগাইলবগাদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। গতকাল গ্রামের বাজারে বান্ধবীদের সাথে একটি কোচিং সেন্টারে পড়তে যায় সে। সেখানে মানুষ কীভাবে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে তা নিয়ে বান্ধবীদের সাথে তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়ে লিমা। পরে কোচিং সেন্টারের আড়ার সাথে তার গলার ওড়না দিয়ে ফাঁস দিয়ে দেখাতে গিয়ে ঘটে বিপত্তি। বেঞ্চ থেকে পা সরে গেলে তার গলায় ফাঁস আটকিয়ে যায়। তার বান্ধীরা চিৎকার করে দৌড়ে এসে বন্ধু পলাশ ও জিৎ কুমারকে ডেকে নিয়ে যায়। তারা দুজন লিমাকে উদ্ধার করে এবং বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হাফিজ উদ্দীনসহ স্থানীয়দের সহযোগিতায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। অবশ্য কেউ কেউ বলেছে ভিন্ন কথা। তাদের অভিমত এক যুবককে দেখাতে গিয়ে ঘটে বিপত্তি।