আলমডাঙ্গার নিমতলা গ্রামে নাবালিকার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেয়ায় আত্মহত্যা

শাশুড়ি ও কাজিকে জেলহাজতে প্রেরণ : দাফন সম্পন্ন
মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার বড় গাংনী ইউনিয়নের নিমতলা গ্রামের নাবালিকার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ফুঁসলিয়ে বিয়ে দেয়ায় আত্মাহত্যার ঘটনায় কথিত শাশুড়ি ও বিয়ে পড়ানো কাজিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গতকাল তাদের আদালতে সোপর্দ করেছে। গতকাল লাশের ময়নাতদন্ত শেষে দাফন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নাবালিকার কথিত স্বামী রাসেল প্রতিবেশী তুজাম ও তার স্ত্রী রাসিয়াসহ বিয়েতে সহযোগিতা করা গোয়ালবাড়ির হালিমকে হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার নিমতলা গ্রামের মানসিক প্রতিবন্ধী নজরুলের নাবালিকা মেয়ে পিংকিকে (১৬) পছন্দ করতো নতিডাঙ্গা আবাসনের আলাউদ্দিনের ছেলে বাদাম বিক্রেতা রাসেল (২২)। তার পছন্দের কথা পিংকির প্রতিবেশী তুজাম ও তার স্ত্রী রাসিয়াকে জানায়। তারা দুজনে পিংকিকে ফুঁলাতে থাকে। গত রোববার পিংকির বাড়িতে কেউ না থাকার সুজগে তুজাম ও তার স্ত্রী রাসিয়া তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। গোয়ালবাড়ির হালিমের বাড়িতে গিয়ে ফারুক কাজির মাধ্যমে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করে। বেলা ৪টার দিকে রাসলের মা আনজিরা জানতে পেরে পিংকির বাড়িতে গিয়ে চরিত্র নিয়ে গালমন্দ করে আসে। অপবাদ সয়তে না পেরে সে নিজ ঘরের আড়ার সাথে ওড়না জড়িয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
সংবাদ পেয়ে সোমবার বেলা ৪টার দিকে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে লাশ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালমর্গে পাঠায়। এ সময় রাসেলের মা আনজিরাকে আটক করা হয়। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা গোয়েন্দা পুলিশ কাজি ওমর ফারুককে চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশন থেকে আটক করে আলমডাঙ্গা থানায় পাঠায় । রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গতকাল সকালে আটক দুজনকে মামলায় চুয়াডাঙ্গা আদালতে সোপর্দ করা হয়। গতকাল বাদ আছর নিমতলা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে লাশের জানাজা শেষে দাফন কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে গ্রাম সূত্রে জানা যায়।