আলমডাঙ্গার ডামোশের আত্তাপের দাফন সম্পন্ন : দু একদিনের মধ্যেই মামলা

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: পেট্রোলের আগুনে দগ্ধ আলমডাঙ্গা ডামোশ গ্রামের দরিদ্র বর্গাচাষি আত্তাপ আলী মোল্লার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ৭টায় গ্রামের উত্তরপাড়া গোরস্তানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। তবে অভিযুক্ত দোকানি জিন্দার আলীর পরিবারের কেউ ওই দাফন অনুষ্ঠানে যায়নি। নিহত আত্তাপ আলী মোল্লার পরিবারের পক্ষ থেকে দু একদিনের মধ্যেই মামলা করা হবে।

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলাধীন বেলগাছি ইউনিয়নের ডামোশ গ্রামের মাঝপাড়ার জিরু মণ্ডলের ছেলে জিন্দার আলীর মুদি দোকানে অবৈধভাবে পেট্রোল বিক্রি করা হয়। গত ৬ এপ্রিল রোববার সন্ধ্যায় দোকানের মাচায় গ্রামের বেশকিছু ব্যক্তি বসেছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মুদি দোকানের ল্যাম্পে তেল ঢালছিলেন মুদি দোকানি জিন্দার আলীর স্ত্রী রহিমা খাতুন। এ সময় ল্যাম্পের আগুন পেট্রোলে ধরে যায়। আগুন ছড়িয়ে পড়ে দোকানে। রহিমা খাতুন জ্বলন্ত ল্যাম্পটি ছুড়ে মারেন। ল্যাম্পটি গিয়ে পড়ে মাচায় বসে থাকা একই গ্রামের মৃত জুব্বার মণ্ডলের ছেলে দরিদ্র বর্গাচাষি আত্তাপ আলী মোল্লার (৪৫) লুঙ্গির কোছের ভেতরে। সাথে সাথে আত্তাপের পুরো শরীরের জামাকাপড়ে ধরে যায়। এতে তার শরীরের ৯০ ভাগ পুড়ে যায়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ওইদিন রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে ৪দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় আত্তাপ মোল্লা মারা যান। সেখানেই তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। গতরাতেই তার লাশ চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশে নেয়া হয়। গতকাল সকালে তার দাফন সম্পন্ন হয়। কিন্তু দাফন অনুষ্ঠানেও যায়নি অভিযুক্ত জিন্দার আলীর পরিবারের কেউ। তবে গতরাতে তারা অনুরোধ করে মামলা না করার জন্য। কিন্তু নিহত আত্তাপ মোল্লার একমাত্র ছেলে লাভলু হক গতরাতে দৈনিক মাথাভাঙ্গার এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, যারা আমার পিতাকে পুড়িয়ে মেরেছে তাদের বিরুদ্ধে দু একদিনের মধ্যেই মামলা করা হবে।