আলমডাঙ্গার গোকুলখালী পুলিশ ক্যাম্পটি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ভবন থেকে স্থানান্তরের দাবিতে চিঠি দিয়েছে ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নের গোকুলখালী পুলিশ ক্যাম্পটি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ভবন থেকে জনস্বার্থে অন্যত্র স্থানান্তর দাবি করে পুলিশ সুপারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পত্র দিয়েছেন জেলা পরিবার ও পরিকল্পনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান। সমস্যাটি জানিয়ে অবগতি ও প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে একই বিষয়ে পত্র পাঠিয়েছেন উপ-পরিচালক।

গত ৯ এপ্রিল পরিবার ও পরিকল্পনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের কাছে পাঠানো লিখিত এক পত্রে জানিয়েছেন, দীর্ঘ ১৩ বছর যাবৎ আলমডাঙ্গার গোকুলখালীতে চিৎলা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ভবনের দোতলায় পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। অথচ প্রত্যেক পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ২৪ ঘন্টা স্বাভাবিক প্রসব সেবা প্রদানের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। ভবনে স্থান সংকুলান না হওয়ায় উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ও পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা কেন্দ্রে থাকতে পারছেন না। ফলে সরকারের গৃহীত কর্মসূচি দারুনভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

আলমডাঙ্গার ভালাইাপুর এলাকার বাসিন্দা যুবলীগ নেতা আসাদুজ্জামান কবীর জানান, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বিষয়টি সমাধান হয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। চিৎলা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানের সাথে এবিষয়ে একাধিকবার কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এব্যাপারে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, সরকারের গৃহীত কর্মসূচি সফল করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজ ও প্রশাসন এগিয়ে আসবেন বলে আশা করি।

চুয়াডাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, পরিবার ও পরিকল্পনা বিভাগের পাঠানো চিঠিটি ১১ এপ্রিল  পেয়েছি। আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে সুবিধাজনক স্থান নির্ধারণের জন্য বলা হয়েছে। বর্তমানে পুলিশের ভবন নির্মাণের সক্ষমতা রয়েছে। কোনো দানশীল ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ক্যাম্পের নামে কমপক্ষে ৩৩ শতক জমি পেলে পুলিশ বিভাগ থেকে বরাদ্দ এনে ভবন নির্মাণ করা সম্ভব। অথবা জেলা প্রশাসক খাস জমি বরাদ্দ দিলে সেখানেও ক্যাম্প করা যাবে। জমি না পাওয়ায় ক্যাম্পটি স্থানান্তর সম্ভব হচ্ছে না।