আন্দুলবাড়িয়া বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকার মধ্যে স্যান্ডেল ও জুতো খুলে মারামারি

আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: জীবননগরের রায়পুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পর এবার আন্দুলবাড়িয়া বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও শিক্ষিকার মধ্যে স্যান্ডেল ও জুতো খুলে মারপিট করার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার বেলা ২টার দিকে ছাত্রী উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ তুলে শিক্ষক কর্তৃক ৩ শিক্ষার্থীকে থাপ্পড় মারার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয় চত্বরে প্রকাশ্যে শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে এ ঘটনা ঘটে। বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও শিক্ষিকার মধ্যে এ ঘটনা এলাকায় আলোচিত হয়ে উঠলে বিভিন্ন মহলে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শরিফুল ইসলামের মেয়ে সাবরিনা খাতুন সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। গতকাল ৬ষ্ঠ শ্রেণির ৩ ছাত্র বিদ্যালয় চত্বরে দাঁড়িয়ে ছিলো (তাদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি)। শিক্ষক শরিফুল ইসলাম ওই ৩ ছাত্রকে দাঁড়িয়ে থাকা দেখে বলেন, তোমরা কি আমার মেয়েকে দেখছ? এ প্রশ্ন তুলেই তাদের চড়থাপ্পড় মারতে থাকেন। মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে চড়থাপ্পড় মেরে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার দায়ে  নির্যাতনের শিকার ছাত্ররা শিক্ষক শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষকের নিকট নালিশ জানায়। নালিশ অভিযোগকে কেন্দ্র করে সহকারী শিক্ষিকা নাসরিন সুলতানা রিমা ও শরিফুল ইসলাম কথা কাটাকাটি ও তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। উভয়ে উত্তেজনার একপর্যায়ে স্যান্ডেল ও জুতো খুলে মারপিট করতে থাকেন। এ সময় উপস্থিত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা শিক্ষক ও শিক্ষিকার এ কা- দেখে কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে পড়েন। প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষর্থীরা জানায়, সৃষ্ট ঘটনার সময় কেউ নিবৃত করার জন্য এগিয়ে যাননি। ঘটনার পরপর দুজনই বিদ্যালয় ত্যাগ করেন। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আব্দুল আলীমের সাথে যোগাযোগ করে ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে তিনি মাথাভাঙ্গাকে বলেন, ঘটনাটি মুখোমুখি না হলে বলা যাবে না। সকালে স্কুলে এসো, বলা যাবে বলেই ফোন কেটে দেন।