আদালতে হাজির হয়ে জামিন পেলেন ৫ আসামির সবাই

আলমডাঙ্গার হাড়োকান্দির নিহত ভুন্দির মামার দায়ের করা অপহরণ মামলা

 

স্টাফ রিপোর্টার: আলমডাঙ্গার হাড়োকান্দি গ্রামের নিহত স্কুলছাত্রী ভুন্দির মামার দায়ের করা অপহরণ মামলার আসামিরা জামিন পেয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার তারা আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। গত ৭ সেপ্টেম্বর পাইকপাড়া গ্রামের মৃত রজব আলী মণ্ডলের ছেলে ভুন্দির মামা নান্না আলমডাঙ্গা থানায় অপহরণ মামলা করেন ভুন্দির মাকে অপহরণ করা হয়েছে মর্মে। আসামি করা হয় হাড়োকান্দির গিয়াস উদ্দিন ডাবলু, মিনাজ উদ্দিন, ইসলাম, সোলজার ও আসলামকে।

আলমডাঙ্গা উপজেলার আইলহাস ইউনিয়নের হাড়োকান্দি গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী তাল কুড়োতে গিয়ে ৩১ আগস্ট নিখোঁজ হয়। পরদিন গ্রামের নুড়িতলা মাঠের একটি পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার হয়। দাফনের পর হত্যার অভিযোগ উঠলেও আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ মামলা নিতে অনীহা দেখায়। পরে গত ৭ আগস্ট রোববার দু মেয়ে আমেনা খাতুন ও মোমেনা খাতুনকে সাথে নিয়ে নিহত ভুন্দির মা সাবিনা বেগম চুয়াডাঙ্গায় আসেন জেলা লোকমোর্চা ও আইনজীবীদের সাথে মামলার পরামর্শ নিতে। এক পর্যায়ে আদালতে মামলার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। এরই মধ্যে ওইদিন দুপুরে পাইকপাড়া গ্রামের মৃত রজব আলী মণ্ডলের ছেলে ভুন্দির মামা আলমডাঙ্গা থানায় অপহরণ মামলা করেন ভুন্দির মাকে অপহরণ করা হয়েছে মর্মে। আসামি করা হয় হাড়োকান্দির নুরুল ইসলামের ছেলে গিয়াস উদ্দিন ডাবলু, মৃত বদর উদ্দিন মালিতার দু ছেলে মিনাজ উদ্দিন ও ইসলাম, বদর উদ্দিন মল্লিকের ছেলে সোলজার ও মৃত আমিরুল ইসলামের ছেলে আসলামকে। তারা ভুন্দি হত্যামামলার সাক্ষী হতে যাওয়ার কারণে তাদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এমনকি থানার এজাহারে অপহৃত সাবিনা বেগম ৭ আগস্ট সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে জানান আমাকে অপহরণের নাটক সাজিয়ে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। ভুন্দির চাচাতো ভাই জাকিরকে আসামি করে ৮ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলা করা হয়। আদালত ৩ দিনের মধ্যে লাশ উত্তোলনপূর্বক ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। ১০ সেপ্টেম্বর ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতে ভুন্দির লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করা হয়।

ভুন্দির মামার দায়ের করা অপহরণ মামলার ৫ আসামি গতকাল বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা আমলি আদালত খ অঞ্চলে (আলমডাঙ্গা) হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল হালিম তাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।