আতঙ্কের গাজায় বিয়ের রোশনাই

মাথাভাঙ্গা মনিটর: অনেক সাধ করে বিয়ের জন্য শাদা পোশাকটি কিনেছিলেন বছর তেইশের হেবা ফায়াদ।কিন্তু ইজরায়েলি হামলায় এক নিমেষে সব স্বপ্নই ভাঙতে বসেছিলো প্যালেস্তাইনিওই তরুণির। তবু ধ্বংসস্তূপের মধ্যেও প্রেমিক ওমরের সাথে নতুন এক ঘরবাধলেন হেবা। সৌজন্যে রাষ্ট্রপুঞ্জ! যুদ্ধে সবকিছু হারালেও চার হাত এক হয়ে গেল পশ্চিম গাজার ত্রাণশিবিরে।নিমেষেই ওই ত্রাণশিবির হয়ে উঠলো উৎসবমুখর। যুদ্ধক্লান্ত গাজায় যেন এক টুকরোখুশির ছোঁয়া।

সেপ্টেম্বরে হেবার বাড়িতেই বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো তাদের। বিয়ের আনন্দেমশগুল হেবা সব প্রস্তুতিই সেরে ফেলেছিলেন। বিয়ের পোশাক থেকে শুরু করেঅতিথিদের তালিকাও তৈরি করা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বাদ সাধল ইজরায়েলি হামলা।ওই হামলায় সব খোয়ালেন হেবা। বাড়ির সাথে সাথেই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিলো বিয়েরসমস্ত প্রস্তুতি। সেই সাথে চুরমার হয়ে গিয়েছিলো নতুন ঘর বাধার স্বপ্ন।আশ্রয় জুটেছিলো পশ্চিম গাজার আল-শাতিয়া ত্রাণশিবিরে। অন্য দেশের বাসিন্দাহলেও প্রেমিকার সাথেই ত্রাণশিবিরে উঠেছিলেন ওমর। সাথে আরও প্রায় ৪০০০উদ্বাস্তু।