আজ বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস

ইলিয়াস হোসেন: “তামাকজাত পন্যের অবৈধ ব্যবসা বন্ধ কর” শ্লোগানকে সামনে রেখে আজ সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশে সরকারী ও বেসরকারীভাবে পালিত হচ্ছে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস। পৃথিবীর সর্বোচ্চ তামাক ব্যবহারকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে এদেশের ৪কোটি ৬০লক্ষ প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ সিগারেট, বিড়ি, ও ধোয়া বিহিীন তামাক সেবন করেন। প্রতি বছর ৫৭হাজার মানুষ মৃত্যু বরন করেন। পঙ্গঙত্ব বরন করেন ৩লাখ ৮২হাজার মানুষ। প্রায় ১২লাখ মানুষ ফুসফুসে ক্যান্সার, মস্তিস্কে রক্তক্ষরন, হৃদরোগ, শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে আক্রান্ত হয়। তামাক চাষ জমির উর্বর শক্তি কমিয়ে আনে এবং তামাক চাষে সম্পৃক্ত মানুষগুলো চির রোগা হয়ে যায়। একবার তামাক চাষ করলে সেই জমিতে অন্য ফসল ভাল হয়না। ধান ও খাদ্য শষ্যের লাভজনক মুল্য না থাকার কারনে কৃষকরা সামান্য লাভের আশায় নিরব ঘাতক তামাক চাষ করে থাকে। অপর দিকে মানুষের মাঝে সচেতনতার অভাবে বিড়ি, সিগারেট, গুল, ও সাদা পাতা সেবন করে থাকে।তারা বুঝতে পারে না তাদের শরিরে বাসা বেধে থাকে ক্যান্সার। সরকার, এনজিও, মিডিয়া কর্মীদের ব্যাপক প্রচারনার কারনে পাবলিক প্লেসে ধুমপান কমে আসলে ও গ্রাম পর্যায়ে এখনও কমেনি। এরা মনে করে বিড়ি, হুক্কা, সাদাপাতা, জর্দ্দা, গুল সেবন তাদের পুর্ব পুরুষদের প্রথা। বর্তমান সরকার ২০১৩সালের মে ২০০৫ সালের আইন সংশোধন করে পাবলিক প্লেসে ধুমপান করলে ৫০টাকার স্থলে ৩শ টাকা জরিমানা এবং কোন বিজ্ঞাপন পচার করলে ৩মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড বা অনধিক ১লাখ টাকার জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবে। এধরনের অপরাধ পুনরায় করলে দ্বিগুন হারে শাস্তি দন্ডিত হবে। কিন্তু তামাক কোম্পানি গুলো প্রশাসনে সজর এড়িয়ে সিগারেটের প্যাকেট দোকানে সাজিয়ে রাখা. সামাজিক কর্মসূচীর নামে দীপ্ত(সৌর বিদ্যুত. প্রবাহ(নিরাপদ পানি), চিকিৎসা সেবা. শিক্ষা বৃত্তি প্রদানের নামে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে। এ সকল বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি।