আজ বিশ্ব ডিম দিবস

স্টাফ রিপোর্টার: আজ বিশ্ব ডিম দিবস। এ দিবসকে সামনে রেখে ডিম খাওয়া বাড়াতে স্কুলের টিফিনে ভাজা-পোড়ার পরিবর্তে সেদ্ধ ডিম দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সারাবিশ্বে বিভিন্ন উৎসবের মধ্যদিয়ে এ দিবসটি পালিত হবে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে এ দিবসটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।

বাংলাদেশের জনসংখ্যা যখন দ্রুতগতিতে বাড়ছে এবং একই সাথে ক্রমাগতভাবে কমছে আবাদি জমির পরিমাণ। তখন বিশ্ব ডিম দিবসে নতুন এক বার্তা দিয়েছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি শিল্প সমন্বয় কমিটি (বিপিআইসিসি) এবং তার সদস্যভুক্ত ৭টি অ্যাসোসিয়েশন।

বিপিআইসিসির আহ্বায়ক মসিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশের মানুষের পুষ্টি ঘাটতি পূরণ ও দারিদ্র্যবিমোচনে ডিম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ডিম হচ্ছে সুপারফুড। ডিমে আছে অত্যন্ত উন্নতমানের প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেল, যা শিশুর মাংসপেশি ও মস্তিষ্কের টিস্যু গঠনে এবং মেধার বিকাশে দারুণ কার্যকর।

মসিউর বলেন, এ দেশে সাধারণ মানুষের মাঝে ডিম খাওয়ার প্রবণতা আগের চেয়ে বাড়লেও তা সন্তোষজনক নয়। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মতে বছরে জনপ্রতি যেখানে অন্তত ১০৪টি ডিম খাওয়ার কথা, সেখানে এদেশের মানুষ খাচ্ছে মাত্র ৩৫টি ডিম। তাই ডিম খাওয়ার পরিমাণ না বাড়ালে জাতীয় অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হবে বলে মনে করেন মসিউর।

বাংলাদেশ এগ প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তাহের আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, তারা প্রায়ই শুনছেন স্কুলের টিফিন খেয়ে বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এর অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে নিম্নমান এবং ভাজা-পোড়া জাতীয় খাবার দেয়া হচ্ছে। এর পরিবর্তে সপ্তায় ২-৩ দিন প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীকে একটা করে সেদ্ধ ডিম দেয়া উচিত। তাহলে শিশুরা সুস্থ থাকবে, স্বাস্থ্যবান হবে।

ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি ফজলে রহিম খান শাহরিয়ার বলেন, ডিম সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে বিশ্ব ডিম দিবস তাদের সুযোগ করে দেয়। দেশের অভুক্ত ও পুষ্টিহীনতার শিকার জনগোষ্ঠীর জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে পুষ্টিমানসম্পন্ন ডিম সহজলভ্য করাই এবারের বিশ্ব ডিম দিবসে অঙ্গীকার।

বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমএম খান বলেন, এবারে ডিম দিবসে তাদের স্লোগান হচ্ছে- বছরে অন্তত ৭৫টি ডিম খান, সুস্থ থাকুন।