অভাবের সংসারে সহযোগিতার ফাঁকে দিন মজুরের কিশোরী কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ

জীবননগর সন্তোষপুরের হামিদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার প্রক্রিয়া

 

স্টাফ রিপোর্টার: জীবননগর সন্তোষপুরের দু সন্তানের জনক হামিদের বিরুদ্ধে ১৩ বছরের কিশোরীকে ফুঁসলিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের হচ্ছে। একই সাথে প্রাপ্ত বয়সীর বিয়ের কাবিন নামা দেয়ায় কাজিকেও নেয়া হচ্ছে আইনের আওতায়। মানবতা সংস্থার সহযোগিতায় কিশোরী ও তার মা মামলার প্রস্তুতি নিয়েছে।

মানবতা সংস্থা এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, চুয়াডাঙ্গা জীবননগর উথলী সন্তোষপুরের মৃত কেসমত আলীর ছেলে হামিদের (৩৫) ঘরে রয়েছে স্ত্রী সন্তান। সে একই গ্রামের এক দিন মজুরের দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে মাঝে মাঝে কিছু আর্থিক সহযোগিতা করে ছদ্মবেশী আপনজন হয়ে ওঠে। হামিদ গোপনে দিনমজুরের ১৩ বছর বয়সী কন্যাকে ধর্ষণ করতে থাকে। কিশোরী আপত্তি জানালে তার হাতে কাবিন নামা ধরিয়ে দিয়ে বলে, তুমি আমার বিয়ে করা বউ।

ধর্ষণের বিষয়টি জানাজানি হলে কিশোরীর দরিদ্র পিতা-মাতা মামলার কথা জানায়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে অভিযুক্ত লম্পট হামিদ ও তার লোকজন হুমকি ধামকি দিতে থাকে। কাজি সেজেও মোবাইলফোনে হুমকি দেয়া হচ্ছে। এরই এক পর্যায়ে গতকাল সোমবার চুয়াডাঙ্গার মানবতা সংস্থার নিকট আইনগত সহায়তা চেয়ে কিশোরীকন্যাকে সাথে নিয়ে তার মা আবেদন করেন। আবেদন গ্রহণ করেন মানবতা সংস্থার নির্বাহী পরিচারক অ্যাড. মানি খন্দকার। উপস্থিত ছিলেন মানবতার প্যানেল আইনজীবী অ্যাড. আব্দুল মালেক, সহসভাপতি অ্যাড. কাইজার হোসেন জোয়ার্দ্দার শিল্পি, মিডিয়া কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ, গণসংযোগ কমকর্তা হাফিজ উদ্দীন হাবলু, অফিসার ইনচার্জ অ্যাড. জিল্লুর রহমান জালাল প্রমুখ।

আবেদনপত্র গ্রহণের সময় উপযুক্ত শাস্তির লক্ষ্যে আইনগত যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। মানবতার তরফে জানানো হয়, আজ-কালের মধ্যেই নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা রুজু করা হবে। মামলায় হামিদসহ কাজিকেও আসামির তালিকায় নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।