অনুপস্থিত থেকেও নিয়মিত হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর : বিদ্যালয়ে না গিয়ে বেতন উত্তোলন করছেন এক শিক্ষক

 

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের শিমুলতলা নব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাহিদা ফারহানা বাড়িতে বসেই হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করছেন। আর এ অনিয়মের সাথে জড়িয়ে গেছেন উপজেলা শিক্ষা অফিস ও সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। চার মাস ওই শিক্ষক বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হলেও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেছেন। এমনকি মাস শেষে নিয়মিত বেতনও উত্তোলন করছেন। তবে শিক্ষা অফিসার বলেছেন জেলা শিক্ষা অফিসারের মৌখিক নির্দেশে ওই শিক্ষককে বাথানপাড়া নব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংযুক্তিকরণ করা হয়েছে।

জানা গেছে, শিমুলতলা নব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাহিদা ফারহানা বিগত চার মাস যাবত বিদ্যালয়ে উপস্থিতি নেই। সপ্তাহের শেষ দিনে তার ঘনিষ্ঠ একজন হাজিরা খাতা বাড়িতে নিয়ে স্বাক্ষর করান। মাস শেষে প্রধান শিক্ষক ওই সহকারী শিক্ষকের উপস্থিতি দেখিয়ে বেতন বিল প্রেরণ করেন। চাকরি না করেই বেতন উত্তোলন করছেন তিনি। বিদ্যালয়ে সরেজমিনে গেলে শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষকের অনুপস্থিতির কথা অকপটে স্বীকার করলেও প্রধান শিক্ষক মঈনুল হোসেন বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা করেন। তিনি জানান, শিক্ষক নাহিদা ফারহানা বাথানপাড়া নব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংযুক্তিতে আছেন এজন্যই হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেছেন। সংযুক্তির লিখিত আদেশ নেই তবে মৌখিক নির্দেশনা আছে বলে দাবি করেছেন তিনি। এদিকে বাথানপাড়া নব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু বকর জানান, চলতি জুলাই মাসের ১০ তারিখে নাহিদা ফারহানা সংযুক্তিতে এসেছেন তবে অনিয়মিত। এর আগে ওই শিক্ষক এখানে সংযুক্তিতে ছিলেন না এবং এখনও সংযুক্তির কোনো লিখিত আদেশ পাননি বলেও জানান তিনি। গাংনী উপজেলা শিক্ষা অফিসার ফারুক উদ্দীন বলেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের মৌখিক নির্দেশে সংযুক্তিকরণ করা হয়েছে। তাছাড়া প্রধান শিক্ষকের কাছে রক্ষিত রেজিস্ট্রারে শিক্ষকের স্বাক্ষর রয়েছে। মেহেরপুর জেলা শিক্ষা অফিসার জেছের আলী জানান, বিষয়টি দেখতে হবে যে, মৌখিকভাবে না লিখিতভাবে আদেশ দেয়া হয়েছে কি-না। মৌখিক নির্দেশনা দেয়া যায় কি-না সে ব্যাপারে তিনি মন্তব্য করেননি।