অধিক লাভের আশায় দামুড়হুদার কৃষকরা ফলন্ত গমগাছ বিক্রি করছে

মো. শাহবুদ্দিন: দামুড়হুদা উপজেলার চাষিরা ফলন্ত গমগাছ অধিক লাভের আশায় ঘাস হিসেবে বিক্রি করছে। বিঘাপ্রতি ১০-১২ হাজার টাকা লাভ হচ্ছে। অপরদিকে ওই জমিতে রোবো আবাদ করার সুযোগ পাচ্ছে।

জানা গেছে, গত ৪-৫ বছর ধরে এলাকার চাষিরা জমিতে গম বপন করে বয়স হলে কাঁচা গমগাছ ঘাস হিসেবে বিক্রি করছে। গম পাকিয়ে লাভ করার চেয়ে কাঁচা গমগাছ বিক্রি করায় বেশি লাভবান হচ্ছে কৃষকরা। চলতি বছর দামুড়হুদা উপজেলায় ৮৫০ হেক্টর জমিতে গম আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আবাদ ৮শ হেক্টর জমিতে এ বছর চাষিরা গম গাছ ঘাস হিসেবে বিক্রি করায় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না। আরামডাঙ্গা গ্রামের চাষি জাকির হোসেন জানান, তিনি দু বিঘা জমিতে উফশি জাতের গম আবাদ করেছিলেন। সেচ ও সার দিয়ে তার খরচ হয় তিন হাজার টাকা। সে গমগাছ বিক্রি করবে ১০-১২ হাজার টাকায়। একই জমিতে বোরো আবাদ করতে পারবে। গম পাকিয়ে বিক্রি করলে বোরো আবাদ করা যাবে না। তাছাড়া পাকা গম কাটা, মাড়াই ও লেবার খরচ বেশি হয়। বিঘাপ্রতি জমিতে ১০ মণ করে হবে। যার বাজার মূল্য ৮-৯ হাজার টাকা। দেওলী গ্রামের চাষি ফজলুল হক জানান, গত বছরের ন্যায় এ বছরও জমি লিজ নিয়ে গমের আবাদ করেছে। এবারও কাঁচা গমগাছ বিক্রি করে ১৪-১৫ হাজার টাকা বিক্রি করবে। একই জমিতে বোরো আবাদ করবে। এলাকায় ব্যাপক হারে গরু মোটাতাজাকরণ প্রকল্প থাকায় গো-খাদ্যের ব্যাপক সংকট রয়েছে। যে কারণে কাঁচা গমগাছ ঘাস হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। কার্পাসডাঙ্গা, দর্শনা ও দামুড়হুদা বাজারে ভ্যানযোগে ছোট ছোট আটি হিসেবে বিক্রি করা হয়। ভ্যানচালকরা অনেক সময় জমি থেকে কিনে এনে বিক্রি করে প্রতিদিন দু থেকে তিনশ টাকা লাভ করে থাকে।

দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃপাংশু শেখর বিশ্বাস জানান, চাষিরা লাভের আশায় এসব কাঁচা গমগাছ বিক্রি করছে। তারা যে আবাদে লাভ হবে সে আবাদই করবে। তবে আবাদ করার সঠিক পরামর্শ ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে।