অগ্রণী ব্যাংকে ২৮০ কোটি টাকা আত্মসাতের চেষ্টা : দুদকের মামলা

স্টাফ রিপোর্টার: ভুয়া সুইফট মেসেজ ব্যবহার করে অগ্রণী ব্যাংক থেকে ৩ কোটি ৩০ লাখ ইউরো অর্থাৎ ২৮০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টার অভিযোগে দুই প্রতারকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলাটি (মামলা নম্বর ১২) করেন সংস্থার উপসহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান। তিনি বলেন, মামলায় আসামি করা হয়েছে জনৈক লুৎফর রহমান ও আবুল কালাম আজাদ নামের দুই ব্যক্তিকে। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সুইস ব্যাংকের ব্যবস্থাপকের জাল চিঠি ও দ্রুত বার্তার (সুইফট মেসেজ) জাল কপি দেখিয়ে রাজধানীর অগ্রণী ব্যাংকের আমিন কোর্ট শাখা থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে প্রতারক চক্র। বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি পরিদর্শন প্রতিবেদন এ তথ্য তুলে ধরে ঘটনাটি অনুসন্ধানের জন্য ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে দুদকে আসে। দুদক বিষয়টি যাচাই-বাছাইয়ের পর অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়।

অনুসন্ধান সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর মিরপুরের একটি হোমিও ক্লিনিকের ঠিকানা ব্যবহার করে জনৈক লুৎফর রহমান অগ্রণী ব্যাংকে একটি হিসাব খোলেন। হিসাব খোলার সময় তার শনাক্তকারী ছিলেন মুন্সীগঞ্জের লৌহজং এলাকার বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ। সূত্র জানায়, লুৎফর রহমান তার ওই হিসাবে সন্দেহজনক লেনদেনের চেষ্টা করেছেন। ২০১৪ সালের ২৭ আগস্ট তিনি অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর ডাকযোগে চিঠি পাঠিয়ে রেমিট্যান্সের টাকা উত্তোলনের বিষয়ে জানান। ওই চিঠির সাথে লুৎফর রহমান সুইস ব্যাংকের ব্যবস্থাপক ‘মার্টিন ডি স্যা পিন্টোর’ সইসংবলিত একটি চিঠির কপি ও সুইফট মেসেজের কপি সংযুক্ত করেন। ওই চিঠিতে বলা হয়, ২০১৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর সুইস ব্যাংকের পত্রের মাধ্যমে ৩০ লাখ ইউরো এবং ২০১৪ সালের ১২ মার্চ সুইস ব্যাংকের আরও একটি চিঠিতে তিন কোটি ইউরো তাঁর হিসাবে রেমিট্যান্স হিসেবে এসেছে।

অনুসন্ধানে ওই সব চিঠি জাল প্রমাণিত হওয়ায় এবং ব্যাংক হিসাবে মিথ্যা তথ্য দেয়া এবং জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের চেষ্টার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা মো. সাইদুজ্জামান মামলার সুপারিশ করে প্রতিবেদন জমা দেন। কমিশন সেটা অনুমোদন দেয়ায় শনিবার মামলাটি হয়।