সুন্দর সমাজ গঠনের প্রত্যয়ে মাথাভাঙ্গা পরিবার

ছাব্বিশ পেরিয়ে সাতাশ বছরে পদার্পণ। পিছু ফিরে দেখলে কত রকমেরই না ঘেরাটোপ পেরোনোর অভিজ্ঞতা। সামনে? আরো, আরো বেশি সুন্দরের সম্ভাবনা দেখে মাথাভাঙ্গা পরিবার। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর শুভক্ষণে কল্যাণকামী, সুন্দর প্রত্যাশী সকলকে শুভেচ্ছা।

১৯৯১ সালের প্রথমভাগে চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের আঙিনায় বসে টগবগে কয়েক যুবকের দেখা স্বপ্ন, আর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের অদম্য ইচ্ছেরই ফসল দৈনিক মাথাভাঙ্গা। তখন এতোটা সহজ ছিলো না। শত প্রতিকূলতা কাটিয়ে ১০ জুন প্রথম প্রকাশিত হয় দৈনিক মাথাভাঙ্গা। এর আগে অবশ্য ২৬ মার্চ প্রস্তাবিত সংখ্যা চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুরবাসীর সামনে মেলে ধরা হয়। ইতিবাচকদের মধ্যে সাড়া পড়ে গেলেও সেদিন সেটা সত্যিই ছিলো দুঃস্বপ্নেরই মতো। আজ দৈনিক মাথাভাঙ্গা চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরের গ-ি পেরিয়ে ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়ার বিশাল এলাকার পাঠককূলের সামনে হয়েছে আস্থার প্রতীক। প্রতিদিনই ইথারে ছড়িয়ে পৌঁছে যায় সারা বিশ্বে। ইন্টারনেট সংস্কারণে পাঠকের সংখ্যাও অসংখ্য। দৈনিক মাথাভাঙ্গা মানেই পাঠকের পত্রিকা, নির্যাতিত, নিপীড়িত, বঞ্চিত মানুষের মুখপত্র। শুধু বস্তুনিষ্ঠতা নয়, ন্যায় প্রতিষ্ঠায় অবিচল। শুরু থেকেই কুসংস্কার তাড়িয়ে আলো ছড়ানোর অঙ্গীকারে পথচলা। এই চলার মাঝে মাথাভাঙ্গা পরিবারকে হারাতে হয়েছে বেশ ক’জন সহযোদ্ধাকে। এদের মধ্যে প্রয়াত প্রধান সম্পাদক সাইফুল ইসলাম পিনু, সাংবাদিক সদরুল নিপুল, হাফিজ উদ্দীন মাস্টার, সাইদুল্লাহ আল সাহেদ, তছলিম আহমেদ পেনু, ইলিয়াস হোসেন ইলু, সামাদুল ইসলাম বিশেষভাবে স্মরণীয়, বরণীয়। আজকের এই দিনে শুধু স্মরণীয়দেরই নয়, যে সকল পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা, শুভাকাক্সক্ষী ও শুভানুধ্যায়ী আমাদের মাঝ থেকে চির বিদায় নিয়েছেন তাদের সকলের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কমনা করি। যাদের সহযোগিতায় দৈনিক মাথাভাঙ্গার অগ্রযাত্রা, তাদের সকলের প্রতি পুনঃপুনঃ কৃতজ্ঞতা।

দৈনিক মাথাভাঙ্গা পেরেছে অনেক কিছু, না পারার তালিকা এখনও খুব খাটো নয়। পাঠক, শুভানুধ্যায়ী ও বিজ্ঞাপনদাতাদের ভালোবাসায় সুন্দর সমাজ গঠনের প্রত্যয়ে ‘দৈনিক মাথাভাঙ্গা’ পরিবারের দৃঢ় পথচলা আরও সুগম হোক। নির্ভুল হোক প্রতিটি পদক্ষেপ।