সমাজে সুফল বয়ে আনুক ভোক্তা অধিকার আইন

পবিত্র ঈদুল ফিতর আসন্ন। ঈদকে সামনে রেখে নতুন শাড়ি-কাপড় পোশাক-আশাক কেনার ধুম পড়ে। মৌকাবুজে বাড়তি মুনাফা ঘরে তোলার যাবতীয় আয়োজনও করেন অনেক ব্যবসায়ী। কিছু দোকানি তাদের প্রতিষ্ঠানের দেয়ালে ‘একদর’ লিখে রেখে ইচ্ছে মতো দাম হাকেন। অথচ ক্রয় মূল্যের পাশে বিক্রির মূল্য তালিকা ঝুলিয়ে রাখা হয় না। বিধি মোতাবেক মূল্য তালিকা ঝুলিয়ে রাখার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
বিধি থাকলেই হয় না, যথাযথ প্রয়োগ থাকতে হয়। ভোক্তা অধিকার আইনের আওতায় মার্কেটিং অফিসারের সহযোগিতায় পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঝে মাঝে পরচারিত হয়। কিছু দোকানিকে জরিমনাও গুনতে হয়। গতপরশুও মেহেরপুরের গাংনী বাজারে অতিরিক্ত মূল্যে পোশাক বিক্রির কারণে তিন দোকানিকে জরিমানা করা হয়েছে। ঈদ বাজার জমে ওঠার মূূুর্ত এ ধরনে অভিযানে যদি স্বচ্ছ্বতা. নিশ্চিতকরা করা যায় তাহলে নিশ্চয় ভোক্তা সাধারণ ভোক্তা অধিকার আইনের সুফল পাবে। আর অভিযান যদি হয় কারো কারো জন্য, তাহলে তার বিরূপ প্রভাব সমাজের ওপরই পড়ে। আস্থা হারাবে প্রশাসন। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
দেশে ভোক্তা অধিকার আইন রয়েছে। আইন প্রয়োগে লোকবলেরও কমতি নেই। এরপরও হাট-বাজারে যাচ্ছে তাই অবস্থা কেন? সঙ্গত এ প্রশ্নের নানামুখি জবাব থাকলেও স্বচ্ছ্ব জবাবদিহিতায় ঘাটতির কারণেই এমনটি হয়। সর্বক্ষেত্রে সকলের জন্য আইন সমানভাবে প্রয়োগ হলে নিশ্চয় ভোক্তা সাধারণকে যাচ্ছে তাই পরিস্থিতির শিকার হতে হতো না। গুনতে হতো না বাড়তি টাকা। আইনের সুফল পেতো সমাজ।