সংসদ সদস্যদের শপথ

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সদস্যরা শপথ নিয়েছেন গতকাল। রেওয়াজ অনুযায়ী স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী তাদের শপথ পড়ান। এর মধ্যদিয়ে নতুন সংসদের যাত্রা শুরু হলো বলা যায়, যদিও নতুন স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচনের বিষয়গুলো এখনও বাকি রয়েছে। এদিকে সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল আওয়ামী লীগ সংসদ নেতা নির্বাচিত করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। আর বিরোধীদলীয় নেতা হচ্ছেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য রওশন এরশাদ। সংবিধান অনুযায়ী সংসদের প্রথম অধিবেশন বর্তমান স্পিকারই পরিচালনা করবেন। এ অধিবেশনেই নির্বাচিত হবেন নতুন স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার। উল্লেখ্য, নবম সংসদে বিরোধীদলে থাকা বিএনপি ও তাদের শরিকদের বর্জনের মধ্যে গত ৫ জানুয়ারি দশম সংসদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট হয়, যাতে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। দশম সংসদ নির্বাচনে ৩০০ সংসদীয় আসনে ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। আর ৫ জানুয়ারি ভোটে নির্বাচিত হন ১৩৯ জন। বাকি আটটি আসনে পুনরায় ভোট গ্রহণ হবে ১৬ জানুয়ারি। বুধবার দুপুরে ২৯০টি আসনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করা হয়। অবশ্য গতকাল শপথ নিয়েছেন ২৮৩ জন সংসদ সদস্য। সাতজন এখনও শপথ নেননি।

শপথবাক্যের কথাগুলো যেন তারা ভুলে না যান। দেশবাসী চায়, বাস্তবেই তাদের কাছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে জনস্বার্থ- ব্যক্তি বা গোষ্ঠীস্বার্থ নয়। বস্তুত এ বিষয়ে আমাদের অভিজ্ঞতা খুব একটা সুখকর নয়। দেখা গেছে, নির্বাচিত হওয়ার পর অনেক সংসদ সদস্য আর নিজ এলাকায় যান না। দেশের উন্নয়নের চেয়ে তাদের কাছে নিজের উন্নয়নই প্রাধান্য পায়। প্রত্যেক সংসদ সদস্যেরই মনে রাখা উচিত তারা জনপ্রতিনিধি। জনগণ ভোট দিয়ে তাদের নির্বাচন করে জনস্বার্থ রক্ষার আশায়। বর্তমানে দেশে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে। মানুষের জীবনে নিরাপত্তা নেই। উন্নয়ন কার্যক্রমসহ প্রায় সব ধরনের কর্মকাণ্ড স্থবির। অর্থনীতি বিপর্যয়ের মুখে। এ পরিস্থিতি থেকে দ্রুত উত্তরণে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা কী দিকনির্দেশনা দেন, তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে দেশবাসী।