শিশু সাথী হত্যার ন্যায় বিচার দ্রুত কাম্য

 

চুয়াডাঙ্গা জীবননগরের কর্চ্চাডাঙ্গার শিশু সাথী হত্যার নেপথ্য উন্মোচনে সিআইডি তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার পর জীবননগরের শাহাপুর পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ তদন্ত শুরু করেন। পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উত্থাপন হয়। জীবননগর থানার একজন সাবইন্সপেক্টরকে তদন্তভার দেয়া হয়। বদলিজনিত কারণে তদন্তে নেমে আসে স্থবিরতা। এক পর্যায়ে থানা পুলিশ তদন্ত শেষে চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে পেশ করে। মামলার বাদী নারাজি আবেদন করেন। তারই প্রেক্ষিতে আদালত সিআইডিকে তদন্তের আদেশ দেন। তদন্ত চলছে।

শিশু সাথীকে কে কেন হত্যা করেছে? তা নিয়ে গ্রামে নানামুখি গুঞ্জন রয়েছে। বাদীপক্ষের অভিযোগের তীর গ্রাম্য প্রতিপক্ষের দিকে। পূর্ব বিরোধের জের ধরে নাকি সন্ধ্যায় সুযোগ বুঝে কোনো লম্পট প্রথম শ্রেণির ছাত্রী সাথীকে তুলে নিয়ে ভুট্টাক্ষেতে হত্যা করে? এসব প্রশ্নের জবাব নিশ্চয় বর্তমান তদন্তকারী কর্মকর্তা খুঁজে পাবেন। প্রকৃত ঘাতককে শনাক্ত করে গ্রেফতারপূর্বক তাকে উপযুক্ত আদালতে সোপর্দ করতেও সক্ষম হবেন বলে বিশ্বাস। ঘটনার পর তদন্তে ত্রুটি নাকি বিশেষ তদবিরে তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রভাবিত হয়েছিলেন তা নিয়ে নানামুখি গুঞ্জন থাকলেও প্রকৃত ঘাতকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির অপেক্ষায় স্থানীয় সচেতন মহল।

শিশু সাথীকে যে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে তা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। শিশু সাথীকে তো আর ভুতে মারেনি, মানুষরূপী অমানুষে মেরেছে। এ ধরনের মানুষরূপী পশুর কবল থেকে সমাজের শিশুদের রক্ষা করতে হলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের যারা তদন্তের দায়িত্ব পান তাদের কর্তব্যপরায়ণ হওয়া প্রয়োজন। বিবেক বোধ জাগিয়ে তোলা উচিত। বিবেকবান বলে দাবি করা হলে ঘাতক শনাক্তকরণে অদক্ষতার বিষয়টি তো আর অস্বীকার করা যায় না। আর বিলম্ব নয়, শিশু সাথী হত্যার ন্যায় বিচার দ্রুত কাম্য।