রক্তের হোলি নয় দেশবাসী চায় সম্প্রীতি স্বস্তি

আর কতো প্রাণ ঝরার পর স্বস্তির বাণী শুনবে দেশবাসী? সকল দলের অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। এসব নিয়ে আলোচনার অন্ত নেই। লাগাতার অবরোধ, সহিংসতা, যেখানে-সেখানে ককটেল নিক্ষেপ, বিস্ফোরণ। নিরাপদ নয় কেউ। সমঝোতা ছাড়া দেশে যে স্বস্তি মিলবে না তা এখন স্পষ্ট। জাতিসংঘের প্রতিনিধি কি সত্যিই সমাধানের পথ দেখাতে পারবেন? ৬ ডিসেম্বরের অপেক্ষা। রাজপথ রক্তাক্ত।

 

দেশের বৃহত দুটি রাজনৈতিক দলের দু প্রধানের নিজ নিজ পক্ষের যুক্তিতে স্বপক্ষের নেতাকর্মীরা তুষ্ট হলেও সাধারণ মানুষ ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে। অবরোধের কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর দাম শুধু বাড়ছেই না, কৃষকের উৎপাদিত সবজি জমিতেই পচে নষ্ট হচ্ছে। অবরোধের মধ্যেও ঝুঁকি নিয়ে অনেকে সবজি নিয়ে বড় শহরের দিকে যাওয়ার পথে প্রাণ হারাচ্ছে। সর্বশেষ প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, চুয়াডাঙ্গা জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়া এলাকার এক ট্রাকহেলপার ঢাকা মানিকগঞ্জের নিকট মারা গেছে। দুর্ঘটনা নাকি নাশকতার শিকার তা অবশ্য অস্পষ্ট। রেললাইন কেটে রাখা হচ্ছে, উৎপাটন করা হচ্ছে রেললাইন। এসব কি আন্দোলন কর্মসূচি হতে পারে? পক্ষান্তরে বিরোধীদলকে তোয়াক্কা না করে একতরফা নির্বাচন করার পথে হাঁটাকে কি গণতন্ত্র বলা যায়? সাধারণ মানুষের কাছে এসব প্রশ্নের জবাব এখন আর খুব বেশি অজানা নয়। অসহায়। ভোটাধিকার প্রয়োগের পরিবেশ না পেলে সাধারণ মানুষ অধিকার প্রয়োগ করবে কীভাবে?

 

দেশকে এমন এক ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে নেয়া হয়েছে বা ঠেলে দেয়া হয়েছে সেখান থেকে বের হওয়ার পথও যেন রুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘের প্রতিনিধিই পথ বাতলে দেবেন বলে কারো কারো মধ্যে আশা জাগলেও পিছু ছাড়ছে না দুশ্চিন্তা। কার বন্দুক কার দিকে তাক হচ্ছে। কার ওপর কে মারছে ককটেল? চলমান পরিস্থিতি থেকে উৎরানোর চাবিকাঠি তো নেতা-নেত্রীদের হাতেই। দেশবাসী চায় স্বস্তি।

Leave a comment