যাত্রী সাধারণের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ

 

প্রতিবারই ঈদ সামনে কয়েকটি চেনা ছবি সামনে উঠে আসে। সংবাদপত্রের শিরোনাম হয়। এবারও তার তেমন তারতম্য হয়নি। যদিও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির চিত্রটা অন্যবারের মতো এবার অতোটা অস্বস্তির নয়। এছাড়া যা ফুটে উঠছে তা মোটামুটি চেনাই বলা যায়। তার মধ্যে অন্যতম চিত্র প্রতিবারই সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে নৈশকোচ ডাকাতি। এবারও হয়েছে, পুলিশি তৎপরতায় ঘাটতি কাটাতে না পারলে শুধু ডাকাতদলই নয়, অন্য অপরাধীরাও যে ভয়ানক হয়ে উঠবে তা সহজেই অনুমেয়। ফলে কাল বিলম্ব না করেই পুলিশি তৎপরতা জোরদার জরুরি।

ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। মাহে রমজানের পরই খুশির বারতা নিয়ে হাজির হবে আনন্দের ঈদুল ফিতর। দূর-দূরান্তে থাকা কর্মজীবীরা ফিরবেন আপন ঠিকানায়। সড়ক, রেল ও পানিপথসহ আকাশপথে অপ্রতুলতার কারণে হয়রানির শিকার হওয়ার বর্ণনা যতোই রোমহর্ষক হোক, সেটা খানেকটা গা সওয়া। তাই বলে ছিনতাই, ডাকাতি, রাহাজানিসহ ঈদ বকশিসের নামে পথেঘাটে চাঁদাবাজিকে তো আর গা সওয়া বলে দায় এড়ানো যায় না! ফলে পুলিশি তৎপরতা বৃদ্ধি করতে হবে। যদিও পুলিশে অপ্রতুলতা- অনস্বীকার্য, তবুও নিরাপত্তা বিধানে পুলিশই তো ভরসা।

আলমডাঙ্গার বণ্ডবিল, চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কের ঘোড়ামারা ব্রিজ ও চন্দ্রাবতী ইঁদারা, কালীগঞ্জ-জীবননগর, জীবননগরের সন্তোষপুর-কাশীপুর সড়ক, উথলী, শিয়ালমারীসহ চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ, মেহেরপুর-কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ-যশোর সড়কের বেশ কয়েকটি স্থান ডাকাতদলের বেশ পছন্দ। চিহ্নিত সড়কগুলোতে পুলিশি টহল জোরদার করার পাশাপাশি রাতের যাত্রীবাহী পরিবহনগুলোকে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন প্রয়োজন। বেশি আয় করার লোভে বেশি বেশি খ্যাপ মারার জন্য অস্থির হওয়ার চেয়ে যাত্রী সাধারণের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ।