ভূমিদস্যুদের অপতৎপরতা রোধে দরকার প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ

 

ভূমিদস্যুদের কবল থেকে সরকারি ভূমি রক্ষা করতে হবে। নদ-নদী যেভাবে ভূমিদস্যুরা গ্রাস করছে তা রোধ করতে না পারলে প্রশাসন থেকে লাভ কী? সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন। এসএ রেকর্ড এক, আরএস রেকর্ডও কোনো কোনো ক্ষেত্রে অভিন্ন। হালরেকর্ডে সরকারি খাসজমি যদি ব্যক্তি মালিকানায় বলে রেকর্ড হয় তাহলে ধরে নিতে হবে জমি গ্রাসের জন্য সুদূরপ্রসারী চক্রান্ত বিদ্যমান।

নদ-নদী, খাল-বিল লিজ দেয়া হচ্ছে, দেয়া হলে নেয়া হবে না কেন? কোন জমি লিজ দেয়ার নির্দেশনা রয়েছে, কোন জমি লিজ না দেয়ার জন্য বলা হয়েছে তা প্রশাসনের দায়িত্বশীলদের অবশ্যই অজানা নয়। লিজ নিয়ে এবং না নিয়ে যেভাবে খাল-বিলের জমি বেহাত হচ্ছে তা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য চরম অন্তরায় হয়ে উঠেছে। বর্ষায় পানি নিষ্কাশনের মতো ব্যবস্থা থাকছে না। ফলে অল্প বৃষ্টিতেই শ শ একর জামিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। আবাদ যাচ্ছে পানিগর্ভে। খাল-বিল ও নদ-নদীর তীরসহ মাঠের পানি নিষ্কাশনের মতো জমি দেদারছে বেদখল হচ্ছে। গতকালও দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় চিত্রার জমি কীভাবে ভূমিদস্যুরা গ্রাস করছে তার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় গুরুত্ব সহকারে প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিকার মিলবে কি?

খাসজমি, নদ-নদীর তীরবর্তী এবং খাল-বিলের পাড়ের জমি লিজ দেয়া বন্ধ করা দরকার। একই সাথে প্রয়োজন বেদখল হওয়া জমি উদ্ধারে জোরদার অভিযান। অবশ্য ভূমিদস্যুরা এখন সংখ্যায় বেড়ে গেছে। ওদের বিরুদ্ধে যেনতেনভাবে অভিযান চালানোর প্রস্তুতির বদলে বড় ধরনের অভিযানেরই প্রস্তুতি নিতে হবে। কালবিলম্বে ক্ষতির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। যার খেসারত সমাজকেই দিতে হবে।