ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের ঢাকা সফর এবং

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসেছিলেন। বাংলাদেশে এটি তার দ্বিতীয় সফর। দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথম বিদেশ সফরেও ঢাকায় এসেছিলেন তিনি। এবারের সফরের প্রথম দিনে তিনি বাংলাদেশ-ভারত যৌথ পরামর্শক কমিশনের বৈঠকে অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করেন। বিএনপি প্রধানের সাথেও তার আলোচনা হয়েছে। দ্বিতীয় দিনে ভারতের টাকায় বাংলাদেশের ১৫টি প্রকল্প এবং ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের নতুন চ্যান্সারি কমপ্লেক্স উদ্বোধন করেন তিনি। কমিশনের চতুর্থ বৈঠকে পানিসম্পদবিষয়ক সহযোগিতা; সন্ত্রাস, উগ্রবাদ ও কট্টরপন্থা মোকাবেলা এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকের পর দেয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, পারস্পরিক বিশ্বাস ও বোঝাপড়ার পরিবেশে আলোচনা হয়েছে। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, নিরাপত্তা, কানেকটিভিটি, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, বিদ্যুত, জ্বালানি, জাহাজ চলাচল, মানুষে মানুষে যোগাযোগসহ বিভিন্ন খাতে অগ্রগতি সন্তোষজনক। বাংলাদেশকে মঞ্জুরি সহায়তা দিচ্ছে ভারত। রোহিঙ্গাদের বিষয়েও কথা বলেন সুষমা স্বরাজ। তবে রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার করেননি তিনি, তাদের শরণার্থীও বলেননি। বাস্তুচ্যুত শব্দ ব্যবহার করে তিনি রোহিঙ্গাদের প্রতি ইঙ্গিত করেন। বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গারা যে মিয়ানমারের জনগোষ্ঠী সে ইঙ্গিতও দেন।

কমিশনের বৈঠকে আঞ্চলিক যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য নতুন প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। সেগুলো ইতিবাচক দৃষ্টিতে বিবেচনার কথা বলেছে ভারত। তিস্তাসহ যৌথ নদীগুলোর পানিবণ্টন নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সুষমা স্বরাজ তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তির দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ভারত সরকার এর সমাধানের চেষ্টা করছে। তবে চুক্তির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কথা বলেননি তিনি। কমিশনের সভা শেষে দুটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই তার সফরকে ফলপ্রসূ করেছে বটে, তবে তিস্তার বিষয়ে অগ্রগতি হলে সফর পরিপূর্ণ হতো।