ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক, আজ বসন্ত

অন্তহীন নিরন্তর পথ চলায় কতো ফুল ঝরে যায়, কতো ফুল পায়ের নিচে পড়ে নিষ্পেষিত হয়। কে তার খবর রাখে। সময় কখন সময়কে পেছনে ফেলে এগিয়ে যায় নতুনের দ্বারে, কে রাখে তারে স্মরণে। দিন যায়, মাস যায়, বছর ঘুরে আসে নতুন বছর। প্রকৃতি পরিবর্তিত হয় ঋতুর পরিবর্তনে। আসে নতুন ঋতু। আর সেই ঋতু যদি হয় বসন্ত, তাহলে তো কথাই নেই। বসন্ত মানেই সুন্দরের জাগরণ আর নতুনের জয়গান, নবীনের আগমন। চিরায়ত সুন্দর ভালোবাসা আর নব-যৌবনের প্রতীক হয়ে বসন্ত আসে আমাদের জীবনে। আজ পয়লা ফাল্গুন, ঋতুরাজ বসন্ত আজ দ্বারে।

দক্ষিণা হাওয়ায় জেগেছে আজ নতুন শিহরণ। নবউদ্যম আর নব জাগরণে জেগে উঠছে সকল প্রেমিক মন। আগের দিনের মতো ফাল্গুনে আজ আর গাছের ডালে কোকিলের ডাক শোনা যায় না অনবরত। পলাশ, শিমুল ফুটলেও চলার পথে লাল গালিচা বিছিয়ে দেয় না আগের মতো। আমগাছেও কমে গেছে আমের মুকুল। আমের মুকুলের সোঁদা গন্ধ এখন আর তেমন ব্যকুল করে না মন। কিন্তু পরিবর্তন হয়নি প্রেমিক মনের। সবকিছু অনুপস্থিত থাকলেও বসন্ত বাঙালির মনে জাগায় আলাদা এক অনুভূতি। আর তাইতো ফাল্গুন মাস শুরু হলেই মনে হয়, এই বুঝি এলো বসন্ত।

বাসন্তি রঙ শাড়িতে বাঙালি নারীকে দেখায় অপরূপ। পিছিয়ে নেই পুরুষেরাও। বাসন্তি রঙ লাগে প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে। তাইতো বাঙালি সব কিছু ভুলে গেলেও ভুলতে পারে না সুভাষ মুখোপাধ্যায় এর প্রকৃতিকে চ্যালেঞ্জ করা অমিয় বাণী, ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক, আজ বসন্ত।