পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর হদিস না মেলা আতঙ্কের

থানা পুলিশ বা গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়েই হোক, আর যে পরিচয়েই হোক কাউকে কোনো স্থান থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর হদিস না মেলা আতঙ্কের। পুলিশ বা গোয়েন্দা পুলিশ অস্বীকার করেই নীরব থাকতে পারে না, পুলিশের দায়িত্ব অপহৃতকে দ্রুত উদ্ধার করা। আর যদি পুলিশ পরিচয়ে অপহরণ করা হয় তাহলে সেটাকে তো একটু বেশি করেই গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। কেননা, ওই ঘটনার সাথে পুলিশের ভাবমূর্তি জড়িত। বিষয়টি বাস্তবতার ভিত্তিতেই দ্রুত উপলব্ধি করা দরকার।
নতুন করে বলার অবকাশ রাখে না, বহুদিন ধরেই নানা পরিচয়ে বহু ব্যক্তিকে তুলে নেয়ার পর কখনো ওই রাতেই, কখনো বা দু’একদিন পর বিভিন্ন স্থানে মৃতদেহ মেলে। এ ঘটনাপ্রবাহকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে দাবি করা হলেও তদন্তে অবশ্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীদের সংশ্লিষ্টতা তেমন মেলে না। তদন্তে ঘটনার সত্যতা মিলুক আর না মিলুক সাধারণ মানুষ বিষয়টিকে কীভাবে নিচ্ছে, সেটা অবশ্যই খতিয়ে দেখা দরকার। কেননা, ওই ধরনের ঘটনা আমজনতাকে ক্ষুব্ধ করে। ক্ষোভের সহনীয় মাত্রা অতিক্রম করলে বিশৃঙ্খলা বাড়ে, বাড়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাসমূহের ওপর বিশ্বাস অবিশ্বাসের দোলাচাল।
গতকালও দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় ঝিনাইদহের এক মাদরাসা শিক্ষককে ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ বিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ডিবি অবশ্য ওই মাদরাসা শিক্ষককে আটক- গ্রেফতার বা কোনো কারণে তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টির সাথে সংশ্লিষ্টতা নেই বলে জানিয়েছে। এই জানানোর মধ্যেই সীমিত থাকলে চলবে না। যেহেতু আইন- শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার নামে অপহরণ, সেহেতু দ্রুত উদ্ধারই কাম্য। দোষী হলে দেশের প্রচলিত আইনে বিচার হোক।