পুলিশের কাছে সমাজের সেটাই প্রত্যাশা

 

বেশ কিছুদিন বিরতির পর চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরে ডাকাতি হয়েছে। কয়েকজনের একদল ডাকাত শহরের গুলশানপাড়াস্থ সাংবাদিকের বাড়িতে দীর্ঘসময় ধরে অস্ত্রের মুখে সোনার গয়নাসহ নগদ টাকা ডাকাতি করেছে। ডাকাতির শিকার পরিবারের সদস্যরা বলেছেন, ডাকাতদল গভীর রাতে জানালার গ্রিল ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর অস্ত্রের মুখে ডাকাতি করে।

নতুন করে বলার অবকাশ রাখে না যে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাংলোয় ডাকাতির পর পুলিশি তৎপরতা বৃদ্ধিতে অনেকটাই স্বস্তি মেলে। যদিও নেশাখোর ছিঁচকে চোরের অবিরাম উপদ্রবে অতিষ্ঠ জেলা শহরের প্রায় সবকটি মহল্লাবাসী। বেশ কিছুদিন পর জেলা শহরের গুলশাপাড়ায় ডাকাতির খবরে এলাকাবাসী সঙ্গত কারণেই শঙ্কিত। সংশ্লিষ্ট এলাকার অনেকেই বলেছেন, সদর হাসপাতাল এলাকায় একটি গ্যাং গ্রুপ রয়েছে। রয়েছে ছিচকে ছিনতাইকারীও। এরপর ডাকাতদলের উপস্থিতি স্পষ্ট হলো। এ অবস্থায় কি পুলিশি টহলে সন্তোষ প্রকাশ করা চলে? শুধু প্রশাসনিক কর্মকর্তার বাংলোয় বা একজন সাংবাদিকদের বাড়িতে ডাকাতি হলে গুরুত্ব দিলে হবে না, সর্বস্তরের সর্বক্ষেত্রেই অপরাধ প্রবণতা রুখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীদের আন্তরিক হতে হবে।

অবশ্যই জনসংখ্যা অনুপাতে পুলিশ অপ্রতুল। এছাড়াও দায় এড়ানোর জন্য যথেষ্ট অজুহাত পুলিশের রয়েছে। তারপরও পুলিশি তৎপরতা প্রয়োজন। অবশ্যই পুলিশি টহল জোরদার করার পাশাপাশি অঞ্চলভিত্তিক গড়ে তোলা গ্যাং, ছিচকে চোর, ছিনতাইকারীসহ ডাকাতদল ধরে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। দুষ্কৃতির শাস্তি নিশ্চিত করতে পারলে সমাজ উপকৃত হবে। পুলিশের কাছে সমাজ সেটাই প্রত্যাশা করে।