পীরত্ব ও দেবত্ব সম্পদ-সম্পত্তি রক্ষায় দায়িত্বশীলতা প্রয়োজন

 

পীরত্ব এবং দেবত্ব সম্পদ-সম্পত্তিই শুধু নয়, ভূমিদস্যুরা নানাভাবেই জমি-জমা গ্রাস করছে। এসব সম্পদ সম্পত্তি কখনো কখনো ভুয়া কমিটি গঠনের মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া হয়, কখনো কখনো জালদলিল প্রণয়ন করেও দখল নেয়ার পাঁয়তারা করে। প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ থাকলে ভুমিদস্যুদের অপতৎপরতা যে বহুলাংশে হ্রাস পাবে তা বলাই বাহুল্য।

নদ-নদীর জমিও যখন দেদারছে বেদখল হয়ে যাচ্ছে তখন পীরত্ব ও দেবত্ব সম্পদ রক্ষা করবে কে? এরকম প্রশ্ন হতাশা বাড়ায় বটে, আইন এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থা থাকা অবস্থায় ভূমিদস্যুদের অপতৎপরতা বাড়ে কীভাবে? এ প্রশ্নই মূলত জোরদার করে সংশ্লিষ্ট কর্তাদের দায়িত্বশীল করার পদক্ষেপ প্রয়োজন। কে নেবে সেই দায়িত্ব? সমাজের দায়িত্বশীলদেরই মূলত এ দায়িত্বে এগিয়ে আসা দরকার। চুয়াডাঙ্গায় বেশ একাধিক সংঘবদ্ধ ভূমিদস্যু রয়েছে। এদের কেউ কেউ ইতোমধ্যে চিহ্নিতও হয়ে উঠেছে। জমির দলিল জাল করে আদালতে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে কয়েকজনের জেল-জরিমানাও হয়েছে। এরপরও থামেনি ভূমিদস্যুচক্রের অপতৎপরতা। ওরা গোপনে জালদলিল প্রণয়ন করে একতরফা আদেশ নেয়ার পথে পা বাড়ায়। যথাসময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে না পারলে চুয়াডাঙ্গার ঐতিহ্যবাহী ভি.জে উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠটিও যে বেহাত হতে বসেছিলো তা নতুন করে বলার অবকাশ রাখে না। এভাবে অনেক জমিই আছে যা ভূমিদস্যুদের লোলুপ দৃষ্টিতে।

দেবত্ব বা পীরত্ব সম্পদ-সম্পত্তি রক্ষার্থে প্রশাসনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অধিক দায়িত্বশীল হওয়া জরুরি। তা না হলে ওইসব সম্পত্তি গ্রাস করে ভূমিদস্যুরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠবে। ১ নং খতিয়ানভুক্ত জমি সুচারুভাবে যেমন রক্ষা করতে হবে, তেমনই ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে আইনানুগ শক্ত পদক্ষেপ নিয়ে অন্যের জমি গ্রাসের প্রবণতা দূর করা জরুরি।