ডিপ্লোমা ইন নার্সিং কোর্সে ভর্তিতে জালিয়াতি এবং

চুয়াডাঙ্গা নার্সিং ইনস্টিটিউটে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং কোর্সে ভর্তি হওয়া ৪৯ জন ছাত্রীর মধ্যে ৩৮ জনের ভর্তি যথাযথ হয়নি। ভর্তিতে জালিয়াতির আশ্রয় নেয়া হয়েছে। ভর্তির কয়েক মাস পর সেবা পরিদফতর এক পত্রে এ তথ্য জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছে। বিষয়টি নার্সিং ইনস্টিটিউটের সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীরা জানার পর কান্নায় ভেঙে পড়ে। গতকাল দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় একটি প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে। প্রশ্ন উঠেছে, ভর্তির সময় কেন যথাযথভাবে যাচাই করা হলো না? জালিয়াতির সাথে কি সংশ্লিষ্টদেরই কেউ কেউ জড়িত ছিলো? তাদের শনাক্ত করার কি কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে?

সত্যিই যদি জালিয়াতির মাধ্যমে ৩৮ জন ছাত্রী ভর্তি হয়ে থাকে তাহলে যোগ্যরা বঞ্চিত হয়েছে। যাদেরকে জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি করা হয়েছে বলে চিহ্নিত করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা যেমন যুক্তিযুক্ত, তেমনই জালিয়াতির সুযোগ দিয়ে যারা ভর্তির ব্যবস্থা করেছে তাদেরও শনাক্ত করে কি শক্ত ব্যবস্থা নেয়া উচিত নয়? অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে। অনিয়ম রোধে সরষের ভেতরের ভূত তাড়াতে না পারলে অনিয়মের শিকার হবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। যেমনটি সুযোগ পেয়েছে বলেই অনিয়মের সাথে হাত মিলিয়েছে ৩৮ জন ছাত্রী। ভর্তি হয়ে প্রশিক্ষণ শুরু করেছে। এখন ওরকম পত্র ওদের জন্য মাথার ওপর আকাশ ভেঙে পড়ার মতোই। ফলে জালিয়াতির মাত্রা নিরুপণে পুনর্বিবেচনার বিষয়টি অগ্রাহ্য ওদের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করবে।

জালিয়াতির মাত্রা কতোটুকু? সহনীয় হলে নমনীয় দৃষ্টিতে দেখে শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ বঞ্চিত না করার সুপারিশ অবশ্যই যুক্তির দাবি রাখে। পরবর্তীতে এ ধরনের জালিয়াতির সুযোগ যাতে কেউ না পায় সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দেয়া দরকার। আর যদি জালিয়াতির মাত্রা অসহনীয় হয় তাহলে অবশ্যই শক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। অনিয়ম করে কেউ পার পেলে অনিয়ম সংক্রমিত হয়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তবে অবশ্যই অনিয়মের সুযোগ সুষ্টি করে দেয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। কেননা, শিক্ষার্থীরা অনিয়মের সুযোগ পায় বলেই ওই পথে পা বাড়ায়। যারা বিশেষ স্বার্থে সুযোগ সৃষ্টি করে তাদের অপরাধ শিক্ষার্থীদের চেয়ে অনেক বেশি গুরুতর।