ঝুঁকিপূর্ণ গাছ দ্রুত অপসারণ করা উচিত

 

চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার ভোগিরথপুরের শতবর্ষী বটপাকুড় গাছটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। চৈত্র-বোশেখে কালবোশেখি হানা দিলে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। ঝুঁকিপূর্ণ গাছটি নতিপোতা ইউনিয়নের ভোগিরথপুর বাজার মোড়ে। যে বৃক্ষ শীতল ছায়া দেয়, দেয় অক্সিজেন সেই গাছই কখনো কখনো প্রাণ কাড়ে। প্রাণ কেড়ে নিতে পারে এরকম আশঙ্কাজনক গাছকে আর আগলে রাখার কোনো কারণ নেই। ফলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া দরকার।

গাছটি যেহেতু বাজার মোড়ে, সেহেতু সহজেই অনুমান করা যায়, ওটা কোনো ব্যক্তির নয়। সরকারি। সরকারি গাছ নিয়ে অনেক নাটক আছে। গরুরগাড়ির হেডলাইট তার মধ্যে অন্যতম। সরকারি গাছের ডাল চাপা পড়লে ফাইল চালাচালিতেই আটকে থাকে চাপাপড়া ব্যক্তি। অনিবার্য হয়ে ওঠে প্রাণহানি। তারপরও পদ্ধতির প্রয়োজনীয় পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয় না। আবার রুগ্‌ণ ঝুঁকিপূর্ণ গাছ বিক্রি? তাতেও চলে নানা রকম চালাকি। সড়কের ধারের ভালো সুস্থ সবল সুন্দর তরতাজা গাছ নিলামে দিব্যি বিক্রি হয়ে যায়, অথচ রুগ্‌ণগাছ, গাছের ডাল পথচারীকে অন্ধ করে, অঙ্গ কাড়ে, কেড়ে নেয় প্রাণ। শুধু ভোগিরথপুর বাজার মোড়ের গাছটিই নয়, এরকম বহু ঝুঁকিপূর্ণ গাছ রয়েছে। এদিকে সংশ্লিষ্টদের দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার লক্ষ্যে এলাকাবাসী সাংবাদিক ডেকে পত্রিকায় সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশও করিয়েছে। পত্রিকায় প্রকাশের পর? তথৈবচ!

চৈত্র ও বোশেখ যেহেতু কালবোশেখির মাস, আপাতভাবে দেখতে সজীব গাছটিও এ সময় ঝড়ে ভেঙে পড়তে পারে।  সুতরাং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত- নিদেনপক্ষে এই দুই মাস আসার আগেই মরা কিংবা দুর্বল শেকড়ের কারণে হেলে পড়া গাছগুলো চিহ্নিত করে নিয়ম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে পদ্ধতিগত জটিলতাও দূর করা প্রয়োজন। অবশ্যই বিষয়টি জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করা দরকার।