জনতার এক স্লিপ – জাগো জনতা জাগো!

আ.শু.বাঙালী

 

হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে নাশকতায় যুক্ত বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতাদের বিচার হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের মুখপাত্র রুপটি-কোলভিল। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার নাভি পিল্লাইয়ের মুখপাত্র রূপটি কোলভিল দেশের একটি দৈনিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বাংলাদেশের চলমান সহিংসতার জন্য বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক আদালতে ফৌজদারী ধারায় বিচারের সম্মুখিন করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। ওই মুখপাত্র আরো জানিয়েছেন, সংলাপের মাধ্যমে বাংলাদেশের চলমান সংকট নিরসন না হলে সামনের দিকে সহিংসতা আরও নিকৃষ্টরূপ নিতে পারে। আর সেইসব সহিংসতার ফৌজদারী অপরাধের দায় থেকে ক্ষমতাসীন রাষ্ট্রপ্রধান, সংসদ সদস্য, জনপ্রতিনিধি, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের কেউই রেহাই পেতে পারেন না, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার নাভি পিল্লাই গত ১ ডিসেম্বর জেনেভোয় দেয়া এক বিবৃতিতে বাংলাদেশকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে, রোম সংবিধির ভিত্তিতে গর্বিত আন্তর্জাতিক আদালতের পক্ষভূক্ত সদস্য। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার তথা ওই সংস্থার এতোদিন কেন ঘুম ভাঙতে লাগলো সে প্রশ্ন ভিন্নতর আলোচনা। তবে মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার নাভি পিল্লাইকে ধন্যবাদ এই যে, দেরিতে হলেও বাংলাদেশের রাজনৈতিক সহিংসতার দায়ভার ক্ষমতাসীন এবং বিরোধীদলীয় রাজনীতিকদের ওপরই বর্তাবার এবং বিচারের সম্মুখিন হওয়ার একটি আগাম সতর্কবার্তা জানিয়েছেন।

 

জানি না সরকার এবং বিরোধীদলীয় নেত্রীরা জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের কথা কানে না তোলার কারণে আন্তর্জাতিক আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন কি-না। তবে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কর্মকর্তারা এদেশের অসুস্থ রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশে যে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন সেটি কার্যকর করার উদ্দেশে যদি এদেশে গণভোট অনুষ্ঠিত করা হয় তাহলে ওপরতলার রাজনীতিক নেতা পাতিনেতা আর সুবিধাভোগী দলীয় চামচা ছাড়া দেশের আমজনতা একহাত নয় দু হাত তুলে সমর্থন জানাবে এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। বাংলায় একটি কথা আছে ‘হয় না হয় করে বুঝ’। নির্বাচন কমিশনার মহোদয়দের কাছে বিনীত প্রার্থনা নাগরিক দাবি নির্বাচনের ব্যালট পেপারে দয়া করে একটি ‘না’ ভোটের ঘর রেখে দেখেন, তাহলে দেখবেন ৫১ শতাংশ ভোট নিয়ে ‘না’ জয়যুক্ত হবে, ‘না’ জয়যুক্ত হবে। নির্বাচন কমিশনার মহোদয়েরা সে পথে যাবেন, সে ভরসা করা বৃথা। তবে, যারা এদেশের ভরসার মূল আশা জাগানিয়া শক্তি সেই তরুণ যুবক-শাহবাগী শক্তির কাছে দাবি শুধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে নয়, এদেশের বিপন্ন মানবতার পাশে দাঁড়িয়ে অসুস্থ রাজনীতির বৃত্ত ভাঙার জন্য এগিয়ে আসুক টিএসসি চত্বর থেকে যারা বাংলার সহিংসতা প্রতিরোধে জনতার ব্যানারে কেবল মোমবাতি জ্বালিয়ে নয় দ্রোহের আগুন ছড়িয়ে দিতে পারে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *