জনতার একস্লিপ কে আছো বাচাও আমারে -আ শু বাঙ্গালী

ঈদুল আজহা এবং স্বরস্বতীপূজার আগে একটি পত্রিকায় লিখেছিলাম হিন্দু ভাইয়েরা যেন দেবী দূর্গত নাশিনী দূর্গার কাছে এবং মুসলমান ভাইয়েরা যেন ঈদুল আজহার ইপসনায় দেশের দুই বড়দলের হাত থেকে এই জাতির মুক্তি জন্য প্রর্থনা করেন। লেখাটি প্রকাশ হবার আগেই দুই দলের প্রভাবশালী নেতাদের আস্ফালন প্রতি আস্ফালনের ভাষা শুনে বোধ করি শুদু আমিই নই দেশের তাবৎ মানুষ তা তারা আওয়ামী লীগেরই হোক আর বিএনপিরই হোক দারুণভাবে উৎকণ্ঠিত ও আতংকিত হয়ে পড়েছে। আওয়মী লীগ বিরোধী দলের আন্দোরন লগি বৈঠা নিয়ে মোকাবেলা করা হবে এমন হুমকি না দিরেও বিএনপির অন্যতম নেতা ৭১’র বীর মুক্তিযোদ্ধা ৭১’র  জোস নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের দা-কুড়াল কাস্তেসহ যার যা আছে তাই নিয়ে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলা করার জন্য নিদের্শ দিয়েছেন। জনাব সাদেক হোসেন খোকার হুমকির জবাবে বা তার প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের  বর্ষীয়ান নেতারা যা বলেছেন তাতে ধরে নিতেই পারি দেশ ক্রমগত ভাবেই একটা ননেরাজ্যের দিকে ধাবিত হচ্ছে। প্রায় বছর সাতেক আগে দেশের যে সংঘাতময় পরিস্থিতি এই অক্বটোবরেরই শেষ মাথায় সৃষ্টি হয়ে ছিলো সাত বছর পর আবার সেই একই পরিস্থিতির দিকে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ আবারো জরুরী অবস্থা, আবারো উত্তরের শাসন। বলতে বাধা নেই দেশের দুই বড়দলের দুই নেত্রীরযেমন যুদ্ধংদেহী মনোভার তার প্রতিক্রিয়া জনগণ এদের শাসন অপেক্ষা উত্তরের শাসনকেও মন্দের ভালো হিসেবে গ্রহণ করতেও দ্বিধা করবেনা। আর জনপদ যদি তৃতীয় শক্তিকেই সমর্থণ দিয়ে বসে তাহলে দুইদল এবং দুইদলের নেত্রীর জন্য তা হবে অত্যান্ত দুর্ভাগ্যময়। দুর্ভাগ আমাদেরও। আজ পর্যন্ত এই দুই  ঘরানার রাজনীতির বিরুদ্ধে কোন বিকল্প শক্তি কোমর বেধে রাজনীতির মাঠে তেমন দাড়ালো না। যাও বা একটি বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে বামপন্থী দু একটি রাজনৈতিক দল বিকল্প হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলার জন্য চেষ্ঠা করছে কিন্তু তাদের সমর্থণ সমাজ জীবনে রাজনৈতিকভাবে যাদের দেওয়ার কথা সেই গরীব মেহনতি জনতা ড. মুহাম্মদ ইউনুচের মাইকো ক্রেডিপের মোহে আছন্ন হয়ে বাম আন্দোলন কারীদের শক্তিকে কমিয়ে দিয়েছে। বাম পন্থিদের সাংগঠনিক শক্তি এবং সমর্থণ রাজধানীর মিল-কারখানার শ্রমিকদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। বামপন্থীদের দেশ প্রেম নিয়ে কেউ কটাক্ষ করেনা বামপন্থিরা লোক ভালো,সৎ নির্ভীক ইত্যাদি ইত্যাদি বিশেষণে বিশেষায়িত করা হলেও তাদের (বামপন্থিদের) হেঁসেলে (রাষ্ট পরিচালনায়) টুকতে দিতে আপত্তি আছে। আর বুর্জোয়া রাজনীতির এদেশীয় প্রতিনিধি আমাদের দুই বৃহৎ গণতান্ত্রিক (পরিবারতন্ত্রী) রাজজনৈতিকদল আওয়ামী লীগ বিএনপি ক্ষমতায় থকার জন্য আর ক্ষমতায় যাবার জন্য দেশবাসীকে যেভাবে গিনিপিগ বানিয়ে রাখে তা দেখে দেশন্তরী হওয়ার ইচ্ছে হলেও উপায় নেই। দেশের বড় দুইদলের নেত্রী দুজনই লেবু কচলাতে কচলাতে দেশের গণতন্ত্রকেই তোতো করে ফেরেছেন। বামপন্থিদের মতোই এই দুই নেত্রীর কারণে গণতন্ত্রও বিপন্ন হচ্ছে এবং হবে। ননদভাজের মতোই এদের আচার আচারণ দুই নেত্রীর জেদের কারণে গনতন্ত্র এখন উত্তরের কোয়ার্টার গার্ডে বন্দী হওয়ার উপক্রম। স্বাধীনতার বিয়াল্লিশ বছরেও যদি  এদেশের গণতন্ত্র শক্তিশালী না হতে পারে তাহলে আবার কতদিনে সেটা হবে।  একথা ঠিক যে মিরাকেল কিছু যদি না ঘটে তাহলে এদেশে ঘুরে ফিরে আওয়ামী লীগ  বিএনপিই ক্ষমতায় আসবে এবং দুইদলের প্রধানরাই সরকার প্রধান হবেন। তাহলে এখনকার প্রধানমন্ত্রীর অধীনে যে দল বা যিনি নির্বাচ করবেন না নিশ্চয় পরেরবারের নির্বাচও তখনকার প্রধানমন্ত্রী অধীনে বর্তমানেরা করবেন না। অর্থাৎ যতবার নির্বাচন হবে ততবারই আমাদের উৎকণ্ঠি আশঙ্কা আর অনিশ্চয়তা বাড়বে। আগামি  ২৫ অক্টোবরের সম্ভাব্য সংঘাত নিয়ে জনগনের যে আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষনে তার কিছুটা নিরসন হলেও বিএনপির নেত্রীর মনোভার এবং গতকাল সোমাবার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে তিনার বক্তব্যে সেই আতঙ্ক আশঙ্কা আবারও জেকে বসেছে। দুই নেত্রীর জেদ বলবান করতে গিয়ে দেশবাসিকে আর কত বলি দিতে হবে কে জানে? এখন জাতিকে শিল্পীর গানের সুরে সুর মিলিয়ে গাইতে হবে কে আছু বাচাও আমারে…..।