চুয়াডাঙ্গায় এবার জিপিএ-৫ বাড়লেও শিক্ষানুরাগীমহল সন্তুষ্ট নয়

 

চুয়াডাঙ্গায় গত বছরের তুলনায় এবার জিপিএ-৫ বেড়েছে। তবে আশপাশের জেলার তুলনায় চুয়াডাঙ্গার ফলাফল অনেকটাই হতাশাজনক। বিশেষ করে চুয়াডাঙ্গার শীর্ষ দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ফলাফল তুলনামূলকভাবে শিক্ষানুরাগীদের হতাশ করেছে। কারণ যেখানে মেহেরপুরের দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় যশোর শিক্ষাবোর্ডের সেরা ২০’র মধ্যে অবস্থান করে নিয়েছে, সেখানে চুয়াডাঙ্গার কোনো বিদ্যালয়ই সে অবস্থান নিতে পারেনি। কেন?

চুয়াডাঙ্গায় শিক্ষার মান হ্রাস পেয়েছে নাকি আড়ালে অন্য কিছু নিহিত রয়েছে? বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তিযুদ্ধে যখন চুয়াডাঙ্গার শিক্ষার্থীরা দিন দিন ভালো করছে তখন এসএসসি পরীক্ষার ফল দেখে হতাশার দীর্ঘশ্বাস ছাড়লে চলবে কেন? এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল দেখে শিক্ষার মান হ্রাস বললে খানেকটা ভুলই হবে। ফলে আড়ালে লুকিয়ে থাকা প্রতিবন্ধকতাগুলো অনুসন্ধান করে প্রতিকারের পথেই হাঁটা দরকার। বিশেষ করে বিদ্যালয়ে কোচিঙে এবং বাড়ি বাড়ি প্রাইভেট টিউশনিতে বাধ্য করানোর কৌশল শিক্ষার্থীদের প্রতিবন্ধকতার মধ্যে ফেলছে কি-না তা জরুরিভাবে খতিয়ে দেখা দরকার। একই সাথে চুয়াডাঙ্গার দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা গ্রহণের সময় সুক্ষ্মভাবে রেষারেষি চলছে না তো? শিক্ষানুরাগী অভিভাবকমহলে এরকম প্রশ্ন দানা বাধা সঙ্গত কারণ রয়েছে বটে।

এসএসসি ওসমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর ভর্তির জন্য ভালোমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চাই। বস্তুত চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে মানসম্মতশিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা এবং দক্ষ শিক্ষক নিয়োগদান জরুরি হয়ে পড়েছে।এদিকে দৃষ্টি দেয়া অপরিহার্য। এবার যারা এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায়উত্তীর্ণ হয়েছে, তাদের সবার প্রতি রইলো অভিনন্দন। যারা অকৃতকার্য হয়েছে, তাদেরও হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আগামীতে ভালো ফলের জন্য এখন থেকেই তাদেরপ্রস্তুতি নিতে হবে।