ক্রিকেট-ফুটবলের আরো উন্নয়ন ও সাফল্য প্রত্যাশী

 

সোমবার ছিলো বাংলাদেশ ক্রীড়াঙ্গনের সোনারাঙা দিন। দুটি সুখবরে অগণিত ক্রীড়ামোদীর আশা আকাঙ্ক্ষা নতুন করে জেগে ওঠে। প্রথমত মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে নাটকীয়তায় ভরা ও শ্বাসরুদ্ধকর টেস্ট ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ৩ উইকেটে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে এগিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ক্রিকেট দীর্ঘদিন পর পরাজয়ের বৃত্ত থেকে বের হয়েছে। অপরদিকে দীর্ঘদিন পর বাংলাদেশ ফুটবল দল রাজশাহীতে সফরকারী শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ১-০ গোলে জিতেছে। এর আগে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ বাছাইপর্বের খেলায় বাংলাদেশের প্রমীলা ফুটবলারগণ জর্ডান ও আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে উপভোগ্য খেলা উপহার দেয়। যদিও তার ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।

বাংলাদেশের ক্রিকেট গত বছর থেকে বিভিন্ন ফরম্যাটে উপর্যুপরিভাবে পরাজয়ে হতাশায় নিমজ্জিত ছিলো। ১৯ মাস পর টেস্টে জয় পাওয়ায় ক্রিকেট আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে বলে অভিমত অনেকের। দাঁড়াবে বলেই আশা করা যায়। ২০১৩ সালের এপ্রিলে জিম্বাবুয়ে সফরে দ্বিতীয় টেস্টে জয় পায়। এরপর বাংলাদেশ ৬টি টেস্ট খেলে। যার মধ্যে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটিতে ড্র হয়। ২০১৩ সালের নভেম্বরে ওয়ানডে সিরিজে নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ। এরপর অন্তত সাতটি ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের দেখা দুরস্ত, হারের লজ্জা নিয়ে ড্রেসিং রুমে ফেরে। অবশেষে জয়ের দেখা পাওয়ায় বলা যায়, বাংলাদেশের ক্রিকেটে দীর্ঘ খরার অবসান হলো। যদিও এ জয়ের ধারা কতোটা ধরে রাখতে পারবে তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছেই। বিগত দিনে জয় এবং পরাজয়ের চিত্র আশাহত করেছে বটে।

খেলোয়াড়দের যেকোনো সাফল্যে ক্রীড়ানুরাগীদের প্রত্যাশা বহুগুণ বেড়ে যায়। ইতোমধ্যে ক্রিকেটের বিশ্ব সংস্থা আইসিসির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশেরই একজন। তৃতীয় বিশ্বের দেশ হিসেবে আমাদের অনেক সমস্যা ও সীমাবদ্ধতা আছে, যা অস্বীকার করা যায় না। এরপরও যখন আমাদের খেলোয়াড়রা একেবারে বাজে খেলা খেলেন তখন আমরা হতাশ হই। যেকোনো খেলায় হার-জিত থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু জয়-পরাজয়ের অনুপাতের ব্যবধান যাতে না বাড়ে সেদিকে বিশেষ যত্নবান হতে হবে। একটিতে জিতে পরেরটিতে হতাশ করলে চলবে না। আন্তর্জাতিক খেলায় সাফল্য ধরে রাখতে হবে। দেশবাসী ক্রিকেট এবং ফুটবলের উন্নয়ন ও সাফল্য প্রত্যাশী।